জীবননগর বাঁকায় কবিরাজি পণ্যের মধ্যে ভ্যান চালকের ফেনসিডিল প্রতিবাদে কবিরাজের ওপর হামলা

জীবননগর অফিস:-

চুয়াডাঙ্গার জীবননগর উপজেলার বাঁকা গ্রামের পরিচিত মুখ সাপুড়ে ও কবিরাজ উকিল উদ্দিনের(৮০) নিয়মিত ভ্যান চালক কৌশলে কবিরাজি পন্যের মধ্যে চার বোতল ফেনসিডিল রেখে দেয়।

কবিরাজ উকিল উদ্দিন ফেনসিডিল দেখে প্রতিবাদ জানান এবং তাকে আর ভ্যান হিসাবে রাখবে না ঘোষনা দেয়ায় ক্ষিপ্ত ভ্যান চালক ও তার ভাইয়েরা উকিল উদ্দিনের ওপর হামলা চালিয়ে মারাত্মক ভাবে আহত করে। ঘটনাটি শনিবার রাত সাড়ে ৭ টার দিকে সংঘটিত হয়েছে। এ ঘটনায় জীবননগর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করা হয়েছে।

জীবননগর উপজেলার বাঁকা নওদাপাড়ার উকিল উদ্দিন উপজেলাবাসীর নিকট একজন দক্ষ সাপুড়ে হিসাবে পরিচিত। তিনি সাপুড়ে পেশার পাশাপাশি জীবন জীবিকার তাগিদে তিনি বিভিন্ন হাটে-বাজারে কবিরাজি পণ্য বিক্রি করে থাকেন।

উকিল উদ্দিন বলেন,আমি বিভিন্ন হাটে বাজারে ফেরি করে কবিরাজি পন্য ও হাঁস-মুরগীর ওষুধ বিক্রি করে থাকি। আমি বিভিন্ন স্থানে যাতায়াতের জন্য আমার গ্রামের মৃত জয়নাল মন্ডলের ছেলে অহিদুল ইসলামকে ভাড়ায় তার পাখিভ্যান গাড়ী নিয়ে যায়। তাকে আমি বিশ্বাস করে আমার কবিরাজি পণ্য তাকে দিয়েই গাড়ীতে সাজায়।

কিন্তু সে কৌশলে আমার কবিরাজি ওষুধ ও অন্যান্য মালামালের ভিতর ৪ বোতল ফেনসিডিল রেখে দেয়। আমি বিষয়টি পরে দেখতে পারি এবং তাকে তীব্র প্রতিবাদ জানাই। আমাকে বলে আর লোক আছে তাদেরকে উক্ত ফেনসিডিলগুলো দিতে হবে। এ সময় আমি তাকে সাফ জানিয়ে দিই তোমার ভ্যান গাড়ী আর আমি ভাড়া নিব না।

আমার এ কথা অহিদুল ক্ষিপ্ত হয়ে শুক্রবার রাত সাড়ে ৭ টার দিকে অহিদুল ইসলাম ও একই গ্রামের কাশেদ আলীর ছেলে আমিনুর ও মমিন এবং দরুদ আলীর ছেলে  রবিউল তাঁড়ি খেয়ে আমার বাড়ীতে প্রবেশ করে বাড়ী ঘরের টিনের বেড়া ভাংচুর করে এবং আমাকে বেধড়ক পিটিয়ে জখম করে। এই সময় আমার স্ত্রীকেও তারা মারপিট করে।

ঘটনার সময় আমার ছেলে গরু বিক্রি করে বাড়ীতে এসে ঘটনা দেখে তাদেরকে বাঁধা দিলে তারা আমার ছেলেকেও মারপিট করে তার নিকট থাকা দু’হাজার ৭০০ টাকা কেড়ে নেয়। আমি লোকজনের সহযোগিতায় জীবননগর হাসপাতালে চিকিৎসা গ্রহন করি।

বাঁকা ইউনিয়ন পরিষদের সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ড মেম্বার রেজাউল ইসলাম বলেন,ঘটনার ব্যাপারে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন এবং ঘটনা বিস্তারিত শোনেন। আমরা চেষ্টা করছি,বিষয়টি স্থানীয় ভাবে নিস্পত্তি করা যায় কি-না।

জীবননগর থানার অফিসার ইনচার্জ এসএম জাবিদ হাসান বলেন,ঘটনার বিষয়ে একটি লিখিত অভিযোগ পাওয়ার পর,ঘটনাস্থলে অফিসার ফোর্স পাঠানো হয়েছিল তদন্তের জন্য। তদন্ত পুর্বক আইনি ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *