জীবননগর অফিস:-
চুয়াডাঙ্গার জীবননগর উপজেলার দেহাটি মাঠপাড়ায় বাড়ীতে ছাগল যাওয়ার ঘটনাকে কেন্দ্র দু’টি পরিবারের মধ্যে সৃষ্ট সংঘর্ষে ৬ নারীসহ উভয় পরিবারের কমপক্ষে ১২ জন আহত হয়েছেন। আহতদের জীবননগর হাসপাতালে চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়। একপক্ষের অভিযোগ তাদেরকে হাসপাতালে প্রবেশ করতে দেয়া হয়নি।
ঘটনাটি বৃহস্পতিবার বিকাল সাড়ে ৫ টার দিকে সংঘটিত হয়েছে। সৃঘ্ট ঘটনায় জীবননগর থানায় পাল্টাপাল্টি লিখিত অভিযোগ করা হয়েছে।
জীবননগর উপজেলার কেডিকে ইউনিয়নের দেহাটি মাঠপাড়ার রবিউল শাহ(৭০) বলেন,প্রতিবেশী নজির শাহের পরিবারের একটি ছাগল আমাদের বাড়ীতে বৃহস্পতিবার বিকাল সাড়ে ৫ টার দিকে প্রবেশ করে উপদ্রুব করতে থাকে।
আমি ছাগলটিকে তাড়ানোর জন্য একটি ঢিল ছুড়ে মারি। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে নজির শাহ,সিরাজ শাহ। তারা আমাকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করতে থাকে। আমরা প্রতিবাদ করলে সিরাজ শাহ,নজির শাহ,সেন্টু শাহ,যাদু শাহ,রশিদা খাতুন,ম্ খাতুন,রহিমা,কবিতা খাতুন একজোট হয়ে হাতে লাঠিসোটা,লোহার রড,হাসুয়া,ডাসা ইত্যাদি নিয়ে আমাদের বাড়ীতে প্রবেশ করে আমাদেরকে বেধড়ক মারপিট করতে থাকে। তারা আমার মাথায় ও হাতে কোপ দিয়ে মারাত্মক ভাবে রক্তাক্ত জখম করে।
আমাকে আমার স্ত্রী আকলিমা,মেয়ে রহিমা খাতুন,পুত্রবদু রুমি ঠেকাতে গেলে তাদেরকেও বেধড়ক মারপিট করে মারাত্মক ভাবে আহত করে। আমার উক্ত মেয়ের মাথার চুল টেনে
তারা ছিড়ে ফেলে। আমার স্ত্রী,মেয়ে ও পুত্রবধুকে মারপিট করে এবং তাদের গায়ের কাপড় চোপড় ছিড়ে বেআবরু করে। তাদের ভয়ে প্রতিবেশীরা ঠেকাতে সাহস
পায়নি। পরবর্তীতে আমাদের লোকজনের সহযোগীতায় জীবননগর হাপসাতালে চিকিৎসার জন্য ভর্তি হই। এ ঘটনায় আমার স্ত্রী বাদী হয়ে জীবননগর থানায় একটি লিখিত
অভিযোগ দিয়েছে।
অভিযুক্ত নজির শাহ(৭০) বলেন,রবিউল শাহের সাথে আমাদের জমি জায়গা নিয়ে আগে থেকে বিরোধ চলছে। এ অবস্থায় ছাগল তাড়ানোর অজুহাতে ইট ছুড়ে আমার গায়ে
মারে।
এ ঘটনায় প্রতিবাদ করাকে কেন্দ্র করে রবিউল শাহ,তার স্ত্রী আকলিমা,মেয়ে রহিমা,ফাতেমা নাতি ছেলে হাসান ও হোসেন একজোট হয়ে তারা আমাকে,আমার ভাবী রশিদা খাতুন,আমার স্ত্রী মনোয়ারা খাতুনকে বেধড়ক মারপিট
করে মারাত্মক ভাবে রক্তাক্ত জখম করে।
তারা আমাদের বাড়ীর মহিলাদেরকে মারপিট করে এবং গায়ের জামা-কাপড় টেনে ছিড়ে বেআবরু করে। তারা আমাদের ইট
ছুড়ে মেরে জখম করে। প্রতিবেশীরা আমাদেরকে রক্ষা করেন।
আমরা ঘটনার পর হাসপাতালে গেলে রবিউল শাহের ভাই কায়দার আলী শাহ আমাদেরকে হাসপাতালে প্রবেশ করতে দেয় না এবং হুমকি ধামকী দিয়ে তাড়িয়ে দেয়। আমরা এলাকায় চিকিৎসা গ্রহন করি।
কেডিকে ইউনিয়ন পরিষদের সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ড মেম্বার মুজিবুর রহমান ঘটনার বিষয়ে নিশ্চিত করে বলেন উভয়পক্ষই ছাগল বাড়ীতে যাওয়া নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। পুলিশ ঘটনা তদন্ত করে গেছে। আমরা উভয়পক্ষকে শান্ত হওয়ার আহবান জানিয়েছি এবং উভয়পক্ষকে নিয়ে শান্তিপুর্ণ নিস্পত্তি করা যায় কিনা সে বিষয়ে আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছি।
জীবননগর থানার অফিসার ইনচার্জ এসএম জাবিদ হাসান বলেন,ঘটনার ব্যাপারে পাল্টাপাল্টি অভিযোগ পাওয়া গেছে। তাৎক্ষণিক পুলিশি ব্যবস্থা গ্রহন করা হয়েছে। তদন্ত করে পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে। বর্তমানে উভয়পক্ষ শান্তিপুর্ণ অবস্থানে আছে।