জীবননগর গয়েশপুরে মাদকাসক্তদের দৌরাত্মে অতিষ্ঠ গ্রামবাসী মাদকাসক্তদের পৃথক দু’টি ঘটনায় দু’ব্যক্তি রক্তারক্তি থানায় লিখিত অভিযোগ

জীবননগর অফিস:-
চুয়াডাঙ্গার জীবননগর উপজেলার গয়েশপুর উত্তরপাড়ায় সম্প্রতি মাদকাসক্তদের দৌরাত্ম ব্যাপক ভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। মাদকাসক্তদের অত্যাচারে সাধারন মানুষ অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে। বুধবার সকাল থেকে রাত পর্যন্ত পৃথক দু’টি ঘটনায় মাদকাসক্তদের হামলায় দু’ব্যক্তি রক্তাক্ত জখম হয়েছেন। এসব ঘটনায় থানায় পৃথক লিখিত অভিযোগও করা হয়েছে। মাদকাসক্তদের দৌরাত্ম গ্রামের সাধারন মানুষকে ভাবিয়ে তুলেছে। তারা মাদক ব্যবসায়ী ও মাদকাসক্তদের বিরুদ্ধে
কার্যকরি ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য জেলা পুলিশ সুপারের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।

জীবননগর উপজেলার সীমান্ত ইউনিয়নের গয়েশপুর উত্তরপাড়া নাজিম উদ্দিনের স্ত্রী রোকসানা খাতুন বলেন,তার প্রতিবেশী শহিদুল ইসলামের ছেলে সোহেল(৩৫) একজন মাদকাসক্ত।

সে এলাকায় দুর্দান্ত প্রকৃতির হওয়ায় জোর করেই আমার বাগানের বিভিন্ন প্রজাতির গাছপালা একে একে কেটে বিক্রি করে দিয়ে আসছে। সেই ঘটনায় আমার স্বামী নাজিম উদ্দিন বুধবার সকাল সাড়ে ৮ টার দিকে তাকে প্রতিবাদ করলে সে আমার স্বামীর ওপর চড়া হয় এবং মাথায় কোপ দিয়ে পালিয়ে
যায়।

আবার সেই সোহেলই এখন হুমকি দিচ্ছে তার নামে মামলা দিলে সে আমাদের দখলে মাদক দ্রব্য রেখে আমার স্বামীকে পুলিশ-বিজিবি দিয়ে ধরিয়ে দিবে। তার এমন আচরনে আমরা রীতিমত আতঙ্কিত। আমার স্বামী নাজিম উদ্দিনকে হাসপাতালে
ভর্তি করা হয়েছে।

ঘটনার ব্যাপারে থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করা হয়েছে।

এদিকে একই গ্রামের মৃত আজিজুল হকের ছেলে লাল মিয়া(৬৭) বলেন,সারু ফকির তরিকাপন্থি সাধুর আস্তানা খুলে সেখানে সে দীর্ঘদিন ধরে তাঁড়ি,চোলাই মদ ও গাঁজার ব্যবসা করে আসছে। তার আস্তানায় রীতিমত মাদক সেবনকারীদের আসর বসে।
একই বুধবার রাত সাড়ে ৮ টার দিকে উক্ত সারু ফকিরের আস্তানা থেকে হবার ছেলে মিয়া,আদল মন্ডলের ছেলে জসিম ও জয়নালের ছেলে ইদবারী মাদক সেবন করে আমার বাড়ীর পাশ দিয়া যাওয়ার অসংলগ্ন আচরন করতে থাকে।

এ সময় প্রতিবাদ করলে মাদকাসক্ত মিয়া তার হাতে থাকা দা দিয়ে আমার মাথায় কোপ দিলে উহা হাতে লেগে রক্তাক্ত জখম করে। আমার ছেলে তাকে বাঁশের লাঠি দিয়ে নিবৃত্ত করতে গেলে বাঁশের লাঠিতে কোপ দিয়ে লাঠি দুই ভাগ কের ফেলে এবং তার দা ভেঙ্গে যায়,তাহলে আমার মাথায় লাগলে বাঁচতাম কি ভাবে?

তাদেরকে প্রতিবেশী জাকের বাঁধা দিলে তারা জাকেরকেও ধাওয়া করে। পরে গ্রামের লোকজন মিয়াকে বেঁধে রাখে। কিন্তু পুলিশ গিয়ে তাকে ছেড়ে দেয় এবং আমাকে থানায় অভিযোগ করতে বললে আমি থানায় লিখিত অভিযোগ দিই।
সীমান্ত ইউনিয়ন পরিষদের সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ড মেম্বার সাইফুল ইসলাম পাকু বলেন,দুটি ঘটনার কথায় শুনেছি।

মাদকাসক্তদের অত্যাচারে সবাই অতিষ্ঠ। দু’টি ঘটনায় থানায় অভিযোগ করা হয়েছে দেখা যাক কি হয়।
জীবননগর থানার অফিসার ইনচার্জ এসএম জাবিদ হাসান বলেন,মাদকাসক্তদের কোন ছাড় হবে না।

ঘটনা দু’টির ব্যাপারে পৃথক পৃথক অভিযোগ পাওয়া গেছে। তদন্ত করে দোষীদের বিরুদ্ধে কার্যকরি ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *