বিশেষ প্রতিনিধি:
চুয়াডাঙ্গার সদর উপজেলার পরকীয়া সম্পর্কের জের ধরে স্ত্রী মর্জিনা খাতুনকে গলাটিপে হত্যা অভিযোগ উঠেছে স্বামী ইব্রাহিমের বিরুদ্ধে। রোববার মধ্যরাত ৩ টার দিকে চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার মহাম্মদজমা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় গ্রামবাসী অভিযুক্ত স্বামী ইব্রাহিমকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করেন।
স্থানীয় ও নিহতের পরিবারের দাবি, অভিযুক্ত স্বামী ইব্রাহিম দীর্ঘদিন যাবত প্রতিবেশী আব্দুর রশিদের স্ত্রীর সাথে পরকীয়া সম্পর্ক জড়িয়ে পড়েন। গোপনে চলতে থাকে তাদের অবৈধ মেলামেশা। পরকীয়ার সম্পর্কটি প্রকাশ্য এলে মর্জিনা খাতুনের সাথে স্বামী ইব্রাহিমের দাম্পত্য কলহের সৃষ্টি হয়।
এ ঘটনায় তিন মাস আগে ওই নারীকে (পরকীয়া প্রেমিকা) তালাক দেন আব্দুর রশিদ। এরই জের ধরে ইব্রাহিম তার স্ত্রী মর্জিনা খাতুনকে গলাটিপে হত্যা করে বাড়ির আঙিনায় ফেলে রাখেন।
স্থানীয় ইউপি সদস্য নুর ইসলাম বলেন, পরকীয়া সম্পর্কের জের ধরে মর্জিনা খাতুনকে গলাটিপে হত্যা করেছে বলে দাবি করছেন নিহতের পরিবারের সদস্যরা।
রাতেই ইব্রাহিমকে গ্রামবাসী আটকে জিজ্ঞাসাবাদ করলে সে হত্যার কথা স্বীকারও করেছে বলে জেনেছি। প্রকৃত ঘটনা পুলিশের তদন্তে বের হয়ে আসবে।
কুতুবপুর পুলিশ ক্যাম্পের উপ-পরিদর্শক (এসআই) ফরিদুল ইসলাম বলেন, নিহতের পরিবারের দাবি, পরকীয়া সম্পর্কের জের ধরে দাম্পত্য কলহের সৃষ্টি হয়। এক পর্যায়ে ইব্রাহিম তার স্ত্রীকে হত্যা করে। নিহতের গলায় সামান্য একটি আঘাতের আলামত পাওয়া গেছে। মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানতে ময়না তদন্ত করা হচ্ছে।
চুয়াডাঙ্গা সদর থানার অফিসার ইনচার্জ শেখ সেকেন্দার আলী বলেন, দাম্পত্য কলহের জেরে নিজ স্ত্রীকে হত্যা করেছে বলে জানতে পেরেছি। মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানতে মরদেহের ময়না তদন্ত করা হবে। আমরা অভিযুক্ত ইব্রাহিমকে আটক করে থানা হেফাজতে নিয়েছি।