জীবননগর অফিস:
চুয়াডাঙ্গার জীবননগর উপজেলার পাকা বাজারে মেম্বার নজরুল ইসলামের নেতৃত্বে সুদের টাকার জামিনদারের ওপর হামলা চালিয়ে মারাত্মক আহত করার অভিযোগ উঠেছে। ঘটনাটি বুধবার সকাল সাড়ে ৯ টার দিকে সংঘটিত হয়েছে।
আহত জামিনদারের একটি চোখ মারাত্মক ভাবে জখম হওয়ায় শঙ্কার মধ্যে আছে। ঘটনার ব্যাপারে জীবননগর থানায় একটি মামলার জন্য আবেদন করা হয়েছে।
জীবননগর উপজেলার পাকা গ্রামের মৃত আবজাল বিশ্বাসের ছেলে মুকুল বিশ্বাস(৫০) বলেন,সুদের টাকা নিয়া সৃষ্ট বিরোধের ঘটনায় আমি জামিনদার হিসাবে টাকা দেয়ার অঙ্গিকার করি।
কিন্তু প্রতিপক্ষ নজরুল মেম্বার,মানিক,উজ্জল,সাইফুল,সোহাগ,খলিল,আক্তার নির্দিষ্ট সময়ের আগেই তারা আমার ছোট ভাই শিমুল বিশ্বাসকে বুধবার সকাল সাড়ে ৯টার পাকা বাজারে আটকিয়ে হুমকি ধামকী দেয় এবং গালিগালাজ করতে থাকে।
সুদের টাকার জামিনদার হওয়ার কারণে তারা উক্ত টাকা আমাদের নিকট থেকে আদায় করতে মরিয়া হয়ে আমার উক্ত ভাইকে বাজারে আটকে রাখার চেষ্টা করে। এ সময় আমরা প্রতিবাদ জানালে তারা আমাদের ওপর সশস্ত্র হামলা চালিয়ে আমার ভাই শিমুল বিশ্বাসের বাম চোখের মারাত্মক ভাবে জখম করে।
তারা আমাকেও মারপিট করে আমার নিকট থাকা ভুট্টা বিক্রয়ের ৯৫ হাজার টাকা ছিনিয়ে নেয়। আমি জামিনদার হিসাবে টাকা দিতে চেয়েছি। কিন্তু আমাকে নির্দিষ্ট সময়ের আগেই প্রতিপক্ষ নানা ভাবে হুমকি ধামকী ও সামাজিক ভাবে হেয়প্রতিপন্ন করার চেষ্টা করা হচ্ছে।
প্রতিপক্ষ সাইফুল ইসলাম আমাদের শান্ত গ্রামটি সম্প্রতি নানা বিষয়কে কেন্দ্র করে অশান্ত করে তুলেছে। যে কোন ছোটখাটো বিষয়ে সে গ্রুপিং করে গ্রামে একের পর এক বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করে গ্রামে পরিবেশ নষ্ট করছে। তার সাথে হালে যোগ হয়েছে নজরুল মেম্বার। তিনি আন্দুলবাড়ীয়া ইউনিয়নের পরিষদের একজন জনপ্রতিনিধি আবার স্কুল শিক্ষক।
কিন্তু তিনিই আবার জনগণ পিটিয়ে লাইম লাইটে আসার চেষ্টা করছেন। আমার ভাই শিমুল বিশ্বাসের চোখের অবস্থা খারাপ। তাকে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে নিয়ে চিকিৎসা দেয়া হয়েছে। চিকিৎসক তার উন্নত চিকিৎসার জন্য খুলনায় নেয়ার পরামর্শ দিয়েছেন।
এদিকে অভিযুক্ত নজরুল ইসলাম মেম্বার তার বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন,আমি তাদেরকে মারপিট করার আগেই শিমুল বিশ্বাস আমার ওপর হামলা চালায়। আমার অপরাধ আমি কেন মুকুল বিশ্বাসকে টাকা দেয়ার কথা বললাম।
আন্দুলবাড়ীয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মীর্জা হাকিবুর রহমান লিটন বলেন,ঘটনার কথা আমি শুনেছি। আমার পরিষদের নজরুল ইসলাম মেম্বারের বিরুদ্ধে যে,অভিযোগ উঠেছে তা কতটুকু সত্য খতিয়ে দেখা হচ্ছে। আর বিষয়টি আপস নিস্পত্তির চেষ্টাও করা হচ্ছে।
জীবননগর থানার অফিসার ইনচার্জ এসএম জাবিদ হাসান বলেন,ঘটনার ব্যাপারে একটি লিখিত অভিযোগ পাওয়া গেছে। তদন্ত করে প্রকৃত দোষীদের বিরুদ্ধে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।