জীবননগর অফিস:
চুয়াডাঙ্গার জীবননগরে অস্বাস্থ্যকর ও নোংরা পরিবেশে খাবার তৈরি ও ইন্ডাস্ট্রিয়াল লবণ ব্যবহার এবং মেয়াদোত্তীর্ণ ও ফিজিশিয়ান স্যাম্পল ওষুধ রাখায় দুই প্রতিষ্ঠানকে ৪০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর | রোববার দুপুর ১ টার দিকে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর চুয়াডাঙ্গা জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক সজল আহম্মেদ অভিযান চালিয়ে এই জরিমানা করেন। সজল আহম্মেদ জানান,নিয়মিত বাজার তদারকির অংশ হিসেবে রোববার জীবননগর উপজেলার বাসস্ট্যান্ড ও হাসাদহ সড়কে এলাকায় অভিযান পরিচালনা করেন।
হাসাদহ সড়কে অভিযান পরিচালনার সময় মেসার্স মায়ের দোয়া হোটেলে খুবই অস্বাস্থ্যকর ও নোংরা পরিবেশে খাবার তৈরি, নিষিদ্ধ ও ক্ষতিকর ইন্ডাস্ট্রিয়াল লবণ ও অন্যান্য দ্রব্যের ব্যবহারের প্রমাণ পাওয়া পান। এছাড়া সেখানকার কোনো কর্মচারী স্বাস্থ্যবিধি মানেননি। আর কোনো মূল্য-তালিকা ছিল না।
এসব অপরাধে দায়ে প্রতিষ্ঠানটির ম্যানেজার মো. মিনারুল হককে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন ২০০৯ এর ৩৮, ৪২ ও ৪৩ ধারায় ১৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। আর সঙ্গে অস্বাস্থ্যকর খাবার ও ক্ষতিকর দ্রব্যগুলো নষ্ট করা হয়।
সজল আহম্মেদ বলেন, পরে বাসস্ট্যান্ডে মেসার্স শাওন ফার্মেসিতে অভিযান পরিচালনা করা হয়। এ সময় সেখানে প্রচুর মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধ ও বিক্রি নিষিদ্ধ ফিজিশিয়ান স্যাম্পল পাওয়া যায়। ওই ফার্মেসিতে ভালো ওষুধের সঙ্গে মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধ একই প্যাকেটে রাখা হতো। আর মেয়াদ লেখা অংশ কেটে রাখা হতো।
এছাড়া কমার্শিয়াল প্যাকেটে লুকিয়ে ফিজিশিয়ান স্যাম্পল বিক্রি করা হতো। ইনসুলিনসহ তাপ সংবেদনশীল ওষুধগুলো সঠিক তাপমাত্রায় সংরক্ষণ করেননি দোকানদার। এসব অপরাধের দায়ে প্রতিষ্ঠানটির ম্যানেজার মো. আব্দুর রাজ্জাককে একই আইনের ৪৫ ও ৫১ ধারায় ২৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
পরে মেয়াদোত্তীর্ণ ও বিক্রি নিষিদ্ধ ওষুধগুলো জব্দ করে আগুনে পুড়িয়ে ফেলা হয়। অভিযান পরিচালনা সহযোগিতা করেন চুয়াডাঙ্গা জীবননগর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) সৈকতের নেতৃত্বে জীবননগর থানা-পুলিশের একটি দল।