জীবননগর অফিস:-
চুয়াডাঙ্গার সদ্য সমাপ্ত জীবননগর উপজেলা পরিষদের নির্বাচন পরবর্তী হামলায় বাবা ও ভাই থানা হাজতে আটক থাকলেও যুবক বিয়ের পিড়িতে বসার ঘটনা এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করেছে।
ঘটনাটি শুক্রবার দুপুরের দিকে সংঘটিত হয়েছে।
জীবননগর উপজেলা পরিষদের নির্বাচন গত বুধবার শান্তিপূর্ণ ভাবে সমাপ্ত হয়েছে।
এ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ ছাড়া আর কোন দল অংশ গ্রহণ না করলেও জীবননগর উপজেলা পরিষদের নির্বাচন শেষ হতে না হতেই পরাজিত প্রার্থীর কর্মি সমর্থকদেরকে হুমকি ধামকি ও হামলার অভিযোগ ওঠে।
এদিকে শুক্রবার সকাল সাড়ে ১১ টার দিকে জীবননগর পৌর এলাকার গোপালনগর গ্রামের মশিয়ার রহমানের ছেলে জীবন হোসেনের বিয়ের অনুষ্ঠান ঘিরে বাড়ীতে চলছিল উৎসব মুখর পরিবেশে। একে একে বাড়ীতে জড়ো হচ্ছিলেন দাওয়াতি বর যাত্রীরা। বর জীবন হোসেন বর যাত্রীদের নিয়ে কনের বাড়ী যাবে। তার যেন আনন্দের শেষ ছিল না।
কিন্তু উপজেলা পরিষদের নির্বাচনকে ঘিরে বিজয়ী প্রার্থী হাজী হাফিজুর রহমান হাফিজের কর্মি সমর্থক সাগরের(২৭) সাথে একই গ্রামের হাতেম আলীর ছেলে সাকিবের কথা কাটাকাটি শুরু হয়। সাগর বর জীবনের আপন মেজো ভাই।
সাগর ও সাকিবের মাঝে সৃষ্ট সংঘর্ষের সাথে জড়িয়ে পড়েন মশিয়ার ও তার ছেলে জীবন এবং সেলিম হোসেন জিহাদ । তাদের মধ্যে সৃষ্ট সংঘর্ষে মারাত্মক ভাবে আহত হয় সাকিবের বড় ভাই সাহেদ হোসেন। প্রতিপক্ষের হামলার সাহেদ হোসেনেের মাথার হাড় ভেঙ্গে মারাত্মক ভাবে আহত হয়।
জীবননগর থানা পুলিশ খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছে মশিয়ার রহমান ও তার ছেলে সাগরকে গ্রেফতার করেন। এদিকে আহত সাহেদ হোসেনকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
অভিযুক্ত মশিয়ার রহমান বলেন,আমি ঘটনার সময় আমি তো বাড়ীতেই ছিলাম না। তাহলে আমি মারলাম কি ভাবে!
জীবননগর পৌরসভার সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ড কাউন্সিলর খোকন মিয়া বলেন, ঘটনার পর পরই আমি ঘটনাস্থলে পৌঁছাই এবং ঘটনার কথা জানতে পারি। সাহেদের অবস্থা খারাপ,সুস্থ হলে স্থানীয় ভাবে নিষ্পত্তির ব্যবস্থা করা হবে।
জীবননগর থানার অফিসার ইনচার্জ এসএম জাবিদ হাসান বলেন, ঘটনার ব্যাপারে থানায় একটি নিয়মিত মামলা হয়েছে। মামলার আসামি মশিয়ার ও তার ছেলে সাগরকে গ্রেফতার করা হয়েছে।