জীবননগর অফিস:-
চুয়াডাঙ্গার জীবননগর উপজেলার রায়পুর ইউনিয়নের বাড়ান্দী গ্রামের এক মালয়েশিয়া প্রবাসীর ক্রয়কৃত জমি জোরপূর্বক বেদখল করে অভিযোগ উঠেছে প্রতিবেশীদের বিরুদ্ধে।
ঘটনা ৯ মে ঘটেছে। এ ব্যাপারে থানা পুলিশের আদেশও আমলে নেয়নি ওই ভূমিদস্যুরা।
জীবননগর উপজেলার রায়পর ইউনিয়নের বাড়ান্দীপাড়ার হতদরিদ্র ফকির মোহাম্মদের ছেলে শাহিদ আলী(৪৫) ভাগ্যের চাঁকা ঘুরাতে মালয়েশিয়া যান।
তিনি সেখানে অবস্থান করা কালে পোকামারী গ্রামের শ্বশুর আব্দুল বাতেনের সহযোগীতায় বাড়ীর অদুরে বাড়ান্দী মাঠে ১০ কাঠা জমি ক্রয় করেন। জমির খাজনা খারিজ করেন এবং দখলে নিয়ে চাষাবাদ শুরু করেন।
কিন্তু সম্প্রতি হঠাৎ করেই বাড়ান্দী গাঙপাড়ার হযরত আলীর ছেলে বিল্লাল হোসেন,ইউসুফ আলী ও শাহজামাল ১০ কাঠা জমি চষে দিয়ে মরিচ চারা রোপণ করে।
ঘটনাটি টের পেয়ে প্রবাসী শাহিদ আলীর শ্বশুর আব্দুল বাতেন আন্দুলবাড়ীয়ার পোকামারী থেকে বাড়ান্দী গিয়ে জমি দখলের ব্যাপারে প্রতিবাদ জানালে ভুমি দখলকারীরা বেপরোয়া আচরণ করে।
এ ঘটনায় বাতেন মিয়া থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দিলে জীবননগর থানা পুলিশ উভয়পক্ষের মধ্যে শান্তি শৃঙ্খলা বজায় রাখতে স্থানীয় গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ ও জনপ্রতিনিধিদের নিয়ে সালিশ বৈঠক করেন।
কিন্তু প্রতিপক্ষ বিল্লাল হোসেন,ইউসুফ আলী ও শাহজামাল অমান্য করে। ফলে বিবাদমান বিষয়টি শান্তিপুর্ণ ভাবে নিস্পত্তি সম্ভব হয়নি।
আব্দুল বাতেন বলেন,বিল্লাল,ইউসুফ ও শাহজামালদের বোন শহরবানু তাহার মায়ের নিকট থেকে দলিল মুলে প্রাপ্ত উক্ত ১০ কাঠা জমি আমার জামাতা শাহিদ আলীর নিকট গত দেড় বছর বিক্রয় করে।
দলিলে উল্লেখিত অংশে আমার জামাতা এতদিন ভোগ দখল করে আসলেও গত ৯ মে সকাল সাড় ১০ টার দিকে জমি বেদখল করে মরিচের চারা রোপন করে।
রায়পুর ইউনিয়ন পরিষদের সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ড মেম্বার ইব্রাহিম হোসেন বলেন,ঘটনার ব্যাপারটি আমি শুনেছি। তবে বিষয়টি নিয়ে স্থানীয় ভাবে কোন সালিস বৈঠকের উদ্যোগ গ্রহন করা হয়নি।
জীবননগর থানার এএসআই জাহিরুল ইসলাম বলেন,প্রবাসী শাহিদ আলীর শ্বশুর আব্দুল বাতেনের লিখিত অভিযোগের ভিত্তি উভয়পক্ষের মধ্যে শান্তি শৃঙ্খলার নিমিত্তে উভয়পক্ষকে নিয়ে বসা হয়েছিল।
কিন্তু প্রতিপক্ষ বিল্লাল হোসেনরা জমি ছাড়তে নারাজ। আমরা এমন পরিস্থিতিতে উভয়পক্ষকে শান্তিপুর্ণ ভাবে অবস্থানে কথা বলেছি এবং আদালতের আশ্রয় নেয়ার পরামর্শ দিয়েছি।