জীবননগর অফিস:-
চুয়াডাঙ্গার জীবননগর হাসাদহ-কানাইডাঙ্গা সড়কের মাঝামঝি স্থানে সোমবার রাতে সড়কের ওপর গাছ ফেলে ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটেছে।
এ সময় ছিনতাইকারীরা পথচারিদের নিকট থেকে নগদ টাকা ছাড়া আর কোন কিছু লুট করতে পারিনি।
ঘটনার শিকার ঝিনাইদহের মহেশপুর উপজেলার কানাইডাঙ্গা পশ্চিমপাড়ার শহিদুল ইসলামের ছেলে বিল্লাল হোসেন বলেন,আমি একজন খোঁয়া ভাঙ্গা শ্রমিক সর্দার।
আমি আন্দুলবাড়ীয়া এলাকা থেকে শ্রমিকদের টাকা সংগ্রহ করে সোমবার রাত ৮.৫০ মিনিটের সময় মোটর সাইকেল যোগে হাসাদহ-কানাইডাঙ্গা সড়ক দিয়ে বাড়ী যাচ্ছিলাম।
ওই হাসাদহ-কানাইডাঙ্গা সড়কের মাঝামাঝি রাস্তায় গাছ ফেলে ১০-১২ জন দূর্বৃত্ত রাস্তার দু’পাশ দিয়ে আসা পথচারি ও বিভিন্ন যানবাহন থামিয়ে টাকা পয়সা ছিনিয়ে নেয়।
দূর্বৃত্তদের মুখ গামছা দিয়ে বাঁধা এবং পরনে কারো হাফ প্যান্ট ও কারো লুঙ্গি পরিহিত ছিল। আমার নিকট থেকে ৪০ হাজার ৩৬০ টাকা ছিনিয়ে নেয়।
আমার নিকট থাকা মোবাইল ফোন,মোটর সাইকেল ও কাগজপত্র ছিনিয়ে নিলেও পরে দুর্বৃত্তরা পালিয়ে যাওয়ার সময় ফেলে যায়। আমি ছাড়াও কানাইডাঙ্গার দিক থেকে আসা ট্রাক,সিএনজি,পাখিভ্যান দুর্বৃত্তরা থামায়।
আমার মত যারা ঘটনার শিকার হয়েছে তাদেরকে আমি চিনি না। তবে ডাকাতদের মধ্যে একজনকে আমি চিনতে পারলেও তাকে বলি আমি চিনি না।
সে হচ্ছে কানাইডাঙ্গা গ্রামের মৃত আলতাব হোসেনের ছেলে নাসির উদ্দিন। দুর্বৃত্তরা প্রায় ২০-২৫ মিনিট ধরে ডাকাতি করে। পরে রাস্তার দুই ধার থেকে লোকজন আসতে দেখে দুর্বৃত্তরা রাস্তার পুর্ব পাশের মাঠের মধ্যে পালিয়ে যায়।
হাসাদহ ইউনিয়ন পরিষদের মেম্বার হাবিবুর রহমান বলেন,ঘটনার কথা আমরা শুনেছি। কানাইডাঙ্গার একটি ছেলে ছিনতাইয়ের শিকার হয়েছে। আর কেউ ছিনতাইয়ের শিকার হয়েছে কি-না আমি জানি না।
এদিকে দীর্ঘদিন পর হাসাদহ-কানাইডাঙ্গা সড়কে গাছ ফেলে ছিনতাইয়ের ঘটনায় এলাকাবাসীর মধ্যে আতঙ্ক সৃষ্টি করেছে।
জীবননগর থানার অফিসার ইনচার্জ এসএম জাবিদ হাসান বলেন,ঘটনার ব্যাপারে আমার কোন কিছু জানা নেই। তবে খোঁজখবর নিয়ে দেখছি।