জীবননগর অফিস:-
চুয়াডাঙ্গার জীবননগর উপজেলার মাধবপুর হালদারপাড়ায় ছোট শিশুদের মধ্যে মারামারির ঘটনাকে কেন্দ্র করে হিন্দু সম্প্রদায়ের দু’টি পরিবারের মধ্যে সৃষ্ট সংঘর্ষে প্রতিপক্ষের হামলায় মা-ছেলে মারাত্মক ভাবে আহত হয়েছে।
চুয়াডাঙ্গার জীবননগর উপজেলার মাধবপুর হালদারপাড়ায় ছোট শিশুদের মধ্যে মারামারির ঘটনাকে কেন্দ্র করে হিন্দু সম্প্রদায়ের দু’টি পরিবারের মধ্যে সৃষ্ট সংঘর্ষে প্রতিপক্ষের হামলায় মা-ছেলে মারাত্মক ভাবে আহত হয়েছে।
এ ঘটনায় প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে অভিযোগ ঘটনার ব্যাপারে মামলা করলেই ভুক্তভোগীদেরকে হাত-পা ভেঙ্গে ফেলার হুমকি দেয়া হচ্ছে।
ঘটনাটি শুক্রবার সংঘটিত হলেও প্রতিপক্ষের ভয়ে ভুক্তভোগী পরিবার থানায় মামলা করতে ভয় পাচ্ছেন।
জীবননগর উপজেলার হাসাদহ ইউনিয়নের মাধবপুর হালদারপাড়ার কালীপদ হালদারের ছেলে জয়দেব হালদার বলেন,গত শুক্রবার দুপুর দুইটার দিকে ছোট শিশুদের মধ্যে
মারামারির ঘটনায় আমার গ্রামের প্রতিপক্ষ মৃত বিশু হালদারের ছেলে সন্তোষ হালদার,মনু হালদারের ছেলে শম্ভু হালদার,নগেন হালদারের ছেলে অর্জুন হালদার ও হেমন্ত হালদার তাহাদের বাড়ীর সামনে রাস্তার ওপর আমার ছেলে আকাশ হালদারকে(২০) পেয়ে খুনের উদ্দেশ্যে বেধড়ক মারপিট করতে থাকে।
সন্তোষ হালদার আমার ছেলের মাথায় ধারালো দা দিয়ে কোপ মেরে মারাত্মক ভাবে জখম করে।
আমার স্ত্রী কল্পনা রানী হালদার ছেলেকে রক্ষা করতে গেলে অর্জুন হালদার আমার স্ত্রীকে বেধড়ক মারপিট করে হাত ভাঙ্গা আহত করে ।
আমার ছেলে-স্ত্রীকে হাসপাতালে চিকিৎসার পর সুস্থ্ করে বিষয়টি স্থানীয় ভাবে আপস নিস্পত্তির চেষ্টা করি।
কিন্তু প্রতিপক্ষরা কোন ভাবে পাত্তা না দেয়ায় বিষয়টি আপস নিস্পত্তি করা সম্ভব হয়নি।
এখন তারা হুমকি দিচ্ছে আমরা মামলা-মোকদ্দমা করলেই আমাদের হাত-পা ভেঙ্গে ফেলার হুমকি দিচ্ছে। তাদের
ভয়ে আমরা আতঙ্কিত,। স্বাভাবিক ভাবে গ্রামে চলাচল করতে পারছি না।
ভয়ে আমরা আতঙ্কিত,। স্বাভাবিক ভাবে গ্রামে চলাচল করতে পারছি না।
শেষ পর্যন্ত গোপনে থানায় গিয়ে একটা লিখিত অভিযোগ দিয়েছি।
হাসাদহ ইউনিয়ন পরিষদের সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ড মেম্বার ওসমান গনি বলেন,ঘটনার বিষয়টি আমরা স্থানীয় ভাবে আপস নিস্পত্তির চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। দ্রুত নিস্পত্তির জন্য স্থানীয় ভাবে গ্রামে বসা হবে।
জীবননগর থানার অফিসার ইনচার্জ(তদন্ত) একরাম হোসাইন বলেন,ঘটনার ব্যাপারে একটি লিখিত অভিযোগ পাওয়া গেছে। তদন্ত করে পরবর্তীতে ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।
হাসাদহ ইউনিয়ন পরিষদের সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ড মেম্বার ওসমান গনি বলেন,ঘটনার বিষয়টি আমরা স্থানীয় ভাবে আপস নিস্পত্তির চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। দ্রুত নিস্পত্তির জন্য স্থানীয় ভাবে গ্রামে বসা হবে।
জীবননগর থানার অফিসার ইনচার্জ(তদন্ত) একরাম হোসাইন বলেন,ঘটনার ব্যাপারে একটি লিখিত অভিযোগ পাওয়া গেছে। তদন্ত করে পরবর্তীতে ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।