জীবননগর অফিস:-
জীবননগর উপজেলার সীমান্ত ইউনিয়নের গয়েশপুর গ্রামের বিবাহিতা যুবতিকে বার বার পরকীয়া প্রেম নিবেদন করে সাড়া না পেয়ে যুবক কর্তৃক যুবতি ও তার মাকে পিটিয়ে জখম করা হয়েছে। ঘটনাটি শনিবার সকালের দিকে সংঘটিত হয়েছে। অভিযুক্ত যুবকের বিরুদ্ধে আরো অভিযোগ ওই যুবতির ইতিপুর্বে দাম্পত্য জীবনে বিবাহ বিচ্ছেদ ঘটানো হয়েছে। ঘটনার ব্যাপারে থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করা হয়েছে।
জীবননগর উপজেলার গয়েশপুর স্কুলপাড়ার বদর উদ্দিনের স্ত্রী শখের বানু(৪৫) বলেন,আমার মেয়ে আসমা খাতুনকে ইতিপুর্বে বিয়ে দিয়েছিলাম। কিন্তু আমার প্রতিবেশী আতিয়ার রহমানের ছেলে সামসুল হক(২৭) আমার উক্ত মেয়ের সম্পর্কে তার স্বামী-শ্বশুর সম্পর্কে নানান আপত্তিকর কথাবার্তা বলে এবং নানা ভাবে উত্যক্ত করার কারণে আমার মেয়ের সে স্বামী-সংসারে দাম্পত্য জীবনে বিবাহ বিচ্ছেদ ঘটে। পরবর্তীতে মেয়েকে কয়েক মাস আগে আবার অন্যত্র বিয়ে দিই। কিন্তু সামসুল সেই একই ভাবে আমার কন্যাকে তার সাথে অনৈতিক সম্পর্ক স্থাপনে পরকীয়া প্রেম নিবেদন করে আসতে থাকে। কিন্তু আমার মেয়ের পক্ষ থেকে সাড়া না পাওয়ায় আমার কন্যার দাম্পত্য জীবন একই ভাবে আবারও নষ্ট করার জন্য হুমকি দেয়। ঘটনার ব্যাপারে আমি শনিবার সকাল ১১ টার দিকে আমার বাড়ীর সামনে রাস্তায় পেয়ে সামসুলকে প্রতিবাদ করি। সামসুল হক এতে ক্ষিপ্ত হয়ে আমাকে মারপিট করতে করতে টানা হেচড়া করতে থাকে। এই সময় আমার মেয়ে আসমা তাকে বাঁধা দিলে সে আমাদের মাম-মেয়ে দু’জনকেই মারপিট করে জখম করে এবং পরনের কাপড় চোপড় টেনে আবরু করে। লোকজন আমাদেরকে রক্ষা করেন। আমি জীবননগর হাসপাতালে চিকিৎসা শেষে জীবননগর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করি।
এদিকে ঘটনাটি নিয়ে গ্রামবাসীর মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। গরিব মানুষের মেয়েকে নিয়ে ছিনিমিনি খেলাটাকে কোন ভাবেই মানতে পারছেন না তারা। দাম্পত্য জীবন নষ্ট করার ব্যাপারটি সামসুলের সংশ্লিষ্টতা থাকলে গ্রামবাসী তার দৃষ্টান্তমুলক শাস্তির দাবী জানিয়েছেন।
সীমান্ত ইউনিয়ন পরিষদের সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ড মেম্বার সাইফুল ইসলাম পাকু বলেন,ঘটনাটি দু:খজনক। কারো কারণে কোন নারীর সুখের সংসার নষ্ট হোক সেটা কারো কাম্য নয়। ঘটনাটি জটিল হওয়ায় থানা পুলিশ পর্য়ন্ত যেতে বাধ্য হয়েছে।
জীবননগর থানার অফিসার ইনচার্জ আব্দুল খালেক বলেন,ঘটনার ব্যাপারে লিখিত অভিযোগ পাওয়া গেছে। তদন্ত করে কার্য়করি ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে