জীবননগর অফিস:
চুয়াডাঙ্গা জেলা বিএনপির আহবায়ক মাহমুদুল হাসান খান বাবু বলেছেন,জীবননগর উপজেলায় প্রতিটি পূজা মন্দিরের নিরাপত্তায় পাহাদার হিসাবে কাজ করবেন বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকমিরা। আর আপনারা নিশ্চিন্তে নির্বিঘ্নে আপনাদের ধর্মীয় উৎসব প্রাণ খুলে পালন করবেন। হিন্দু-মুসলিম-খ্রিস্টান বলে পার্থক্য করার কোন সুযোগ নেই।
বাংলাদেশে সবাই মানুষ। মানুষ হিসাবে যার যার ধর্মীয় অধিকার সে সে পালন করবেন এটাই স্বাভাবিক। হিন্দু সম্প্রদায়ের বৃহৎ ধর্মীয় উৎসব দূর্গাপূজাকে কেন্দ্র একটি মহল বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করতে পারে।
তবে তার মোকাবেলা করতে প্রশাসনের পাশাপাশি বিএনপির নেতাকর্মিরা প্রস্তুত রয়েছেন। কোন চক্রান্ত,গুন্ডাবাহিনীর গুন্ডামী চলবে না। আপনাদের দিকে কেউ চোখে তুলে তাকাবে না। মঙ্গলবার বিকাল সাড়ে ৪ টার সময় উপজেলার সমস্ত পুজা মন্দির কমিটির সভাপতি ও সাধারন সম্পাদকদের সাথে এক মতবিনিয় অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন।
বাবু খান আরো বলেন,স্বৈরাশাসক শেখ হাসিনা লুটপাট করে দেশ ছেড়ে পালিয়েছে।কিন্তু এখন রয়ে গেছে তার দোসর ধান্দাবাজ নেতাকর্মিরা। তাদের ব্যাপারে বিএনপির নেতাকর্মিদেরকে সতর্ক থাকতে হবে
। বিএনপির নেতাকর্মিদেরকে দায়িত্ব নিতে হবে যাতে হিন্দু সম্প্রদায়ের মানুষেরা তাদের ধর্মীয় উৎসব দুর্গাপুজা শান্তিপুর্ণ ভাবে সম্পন্ন করতে পারেন। দলীয় নেতাকর্মীরা প্রতিটি মণ্ডপে মণ্ডপে গিয়ে খোঁজখবর রাখবে এবং হিন্দু ভাইদের সহযোগিতা করবে। আমরা চাই সবাই যার যার ধর্ম শান্তিপূর্ণ ভাবে পালন করুক।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন,জীবননগর উপজেলা বিএনপির সভাপতি মো: আনোয়ার হোসেন খান খোকন,সহ-সভাপতি আবুল কালাম,সাধারন সম্পাদক শাহাজান আলী,যুগ্ম-সাংগাঠনিক সম্পাদক দোজা উদ্দিন, জীবননগর পৌর বিএনপির সভাপতি শাজাহান কবির,
সাধারন সম্পাদক শামসুজ্জামান ডাবলু,জীবননগর উপজেলা যুবদলের আহবায়ক মঈন উদ্দিন ময়েন,যুগ্ম আহবায়ক জাকির আহম্মেদ শামীম,জীবননগর পৌর যুবদলের আহবায়ক হযরত আলী,সীমান্ত ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি আব্দুল গনি,সাধারন সম্পাদক বদরউদ্দিন বাদল,
বিএনপি নেতা আঃ রাজ্জাক,আবুল কালাম,রফিকুল ইসলাম রফা,সাইদুর রহমানর ,যুবদল নেতা আব্দুল মোমিন,ইয়াদুল,আব্দুল জলিল,রফিকুল ইসলাম ,ওয়াসিম ,চুয়াডাঙ্গা জেলা ছাত্র দলের সহ-সভাপতি সুজন খন্দকার,
জীবননগর উপজেলা ছাত্রদলের আহবায়ক রিমন হোসেন,সদস্য সচিব জিল্লুর রহমান ,জীবননগর পৌর ছাত্রদলের যুগ্ন আহবায়ক ওমর ফারুক প্রমুখ। বাবু খান পরে সন্ধ্যায় উপজেলার বিভিন্ন পুজা মন্দির নেতাকর্মিদেরকে সাথে নিয়ে পরিদর্শন করেন।