জীবননগর অফিস:-
একনায়কতন্ত্র ও স্বৈরাচার শেখ হাসিনার আমলে দীর্ঘ ১৭ বছর ভাল ভাবে কোন সভা সমাবেশ করতে পারেনি বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী।
তবে এবার বিশাল কর্মী সমাবেশ করল চুয়াডাঙ্গার জীবননগর উপজেলার মনোহরপুর ইউনিয়ন জামায়াতে ইসলামী।
উপজেলার ধোপাখালী হাইস্কুল ফুটবল মাঠে তারা এ কর্মী সমাবেশ করেন। অনুষ্ঠিত কর্মী সমাবেশে বিপুল সংখ্যক কর্মি সমর্থক জমায়েত হন।
উপজেলার মনোহরপুর ইউনিয়ন জামায়াতে ইসলামীর আমির রবিউল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর চুয়াডাঙ্গা জেলা জামায়াতের আমির অ্যাড.রুহুল আমিন।
তাই আসুন আমরা সবাই এক সাথে মিলেমিশে সব ধরনের ভেদাভেদ ভুলে একটি সুন্দর বাংলাদেশ গড়ে তুলি। আওয়ামীলীগ দেশের মানুষের যে,অত্যাচার নির্যাতন করেছেতা কোন ভাবেই ভুলে যাওয়ার নয়।
ফ্যাসিষ্ট আওয়ামীলীগ সরকারকে বিতাড়িত করতে যারা শহীদ হয়েছেন তাদের বিচার বাংলার মাটিতেই হবে।
গত ১৬ বছরে আওয়ামীলীগের অত্যাচারে নির্যাতনে জামায়াতে ইসলামীরা নেতাকর্মিরা ছিল জর্জরিত।
তারপরও কোন নেতাকর্মি তাদের আদর্শ থেকে একচুলও বিচ্যুত হয়নি। জামাতের নেতাকর্মিরা দুনিয়াবি সুখ-শান্তির জন্য নয়,আখেরাতের শান্তির জন্য রাজনীতি করেন।
এ সংগঠনের মানুষ টাকার নিকট বিক্রি হয় না। তারা বরং উল্টা সংগঠনের পিছনে টাকা খরচ করে রাজনীতি করেন। জামায়াতে ইসলামীর নেতাকর্মিদেরকে টাকা দিয়ে কেনা যাবে না। খেটে খাওয়া মানুষের পকেটই হচ্ছে জামায়াতের ব্যাংক।
অবর্ণনীয় জেল জুলুম আর অত্যাচার নির্যাতনের পরও
জামায়াতে ইসলামী কারো প্রতি প্রতিশোধ নেয়নি। আর নিবেও না। জামায়াতে ইসলামী একটি আদর্শবাদী সংগঠন।
এ সংগঠনের কোন নেতাকর্মি সরকারী হাট বাজার,খাল-বিল দখল করে না। যারা ভোট ডাকাতি করে তারাই জামায়াতকে গালি দেয়। দেশের সম্পদ মাত্র ১০ ভাগ লুটেরাদের হাতে জিম্মি হয়ে আছে।
আমরা এর বিরোধী। আমরা বেগমপাড়া ও টাকা পাচারের বিপক্ষে। আসুন সবাই মিলে দেশে সৎ লোকের শাসন কায়েম করি। তাহলে আর চাকুরির জন্য কারো দ্বারে দ্বারে ঘুরতে
হবে না।
দিয়ে রাজনীতি করে দেশ জাতিকে সমৃদ্ধ করতে জামায়াতে ইসলামীর বিকল্প নেই। জামায়াতে ইসলামী রাস্ট্র ক্ষমতায় গেলে বাংলাদেশ শান্তির দেশ হবে।
তাই আসুন সবাই জামায়াতে ইসলামীর ছাঁয়াতলে শামিল হই এবং একটি ইসলামী রাস্ট্র উপহার দিই। কর্মী সমাবেশে বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন,চুয়াডাঙ্গা জেলা জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারী অ্যাড.আসাদুজ্জামান
সহকারী সেক্রটারী মাসুদ পারভেজ,জিয়াউল হক,জেলা ছাত্র শিবির সভাপতি মহাসিন এমদাদুল জামেন,জীবননগর উপজেলা জামায়াতে ইসলামীর আমির মাও.সাজেদুর রহমান,সেক্রটারী সাখাওয়াত
হোসেন,জীবননগর পৌর আমির ফিরোজ হোসেন। সীমান্ত ইউনিয়ন আমির আবু বকর সিদ্দিকের উপস্থাপনায় কর্মী সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন,হাসাদহ ইউনিয়ন আমির কামাল উদ্দিন,আন্দুলবাড়ীয়া ইউনিয়ন আমি। হারুন-অর রশিদ,কেডিকে ইউনিয়ন আমির আব্দুর রহমান,উথলী ইউনিয়ন আমির নুরুল হুদা,বাঁকা ইউনিয়ন আমির মাও.হাফিজুর রহমান,রায়পুর ইউনিয়ন আমির আমির হামজা প্রমুখ।