জীবননগর অফিস:-
চুয়াডাঙ্গা জীবননগর বাজারে প্রত্যাশা ম্যানেজমেন্ট কোম্পানি লি: নামে একটি বেসরকারী ঋণদান সংস্থায় চাকুরি দেয়ার নামে কয়েকজন যুবক-যুবতি প্রতারণার শিকার হতে গিয়ে অল্পের জন্য রক্ষা পেয়েছেন।
ভুক্তভোগী যুবক-যুবতিদের সন্দেহের সৃষ্টি হওয়ায় তারা সংস্থাটির জীবননগর অফিসের কথিত সহকারী ম্যানেজারকে ধরে সোমবার দুপুর সাড়ে ১২ টার দিকে থানা পুলিশে সোপর্দ করেন।
পরবর্তীতে ভুক্তভোগী যুবক-যুবতিদের নিকট থেকে নেয়া টাকা ফেরত দিয়ে জনরোষ থেকে রক্ষা পান কথিত সহকারী ম্যানেজার জিহাদ হোসেন।
জীবননগর উপজেলা শহরের শাপলাকলিপাড়ার আব্দুস সাত্তারের ছেলে মুরসালিন বলেন,আমাদের পুর্ব পরিচিত উপজেলার মিনাজপুর গ্রামের লাল্টু মিয়ার ছেলে জিহাদ হোসেন কিছুদিন আগে নিজেকে প্রত্যাশা ম্যানেজমেন্ট কোম্পানি লি: এর জীবননগর শাখা অফিসের ম্যানেজার পরিচয় দেয়।
কথিত জিহাদ হোসেন আমাকে কন্দর্পপুর গ্রামের আনোয়ার হোসেনের মেয়ে নয়নতারা ও নারায়নপুর গ্রামের আব্দুর রহমানের মেয়ে রুনা খাতুনকে উক্ত সংস্থায় চাকুরি দেয়ার প্রলোভন দেয়। আমরা তার প্রলোভনে পড়ে চাকুরি করতে ইচ্ছা পোষন করি।
জিহাদ হোসেন নয়নতারা ও রুনা খাতুনের নিকট থেকে ২৭ হাজার জামানত হিসাবে গ্রহন করে। পরে আমাদের শিক্ষাগত যোগ্যতার মুল সনদ দাবী করে ঢাকায় নিয়ে যাওয়ার কথা বলেন।
এতে আমাদের সন্দেহ হলে আমরা তাকে টাকা ফেরত দেয়ার কথা বলি। কিন্তু তিনি আমাদের সাথে টালবাহানা করতে থাকেন।
এ পর্যায়ে লোকজন তাকে ধরে পুলিশের নিকট সোপর্দ করে। পরবর্তী নয়নতারা ও রুনা খাতুনসহ ২৯ জন গ্রাহকের নিকট থেকে নেয়া সমস্ত টাকা ফেরত দিয়ে থাকা থেকে জিহাদ হোসেন ছাড়া পান।
এদিকে প্রত্যাশা ম্যানেজমেন্ট কোম্পানির লি: এর জীবননগর শাখা অফিসের ম্যানেজার জিহাদ হোসেন থানায় আটকের খবর ছড়িয়ে পড়লে বেশ কিছু গ্রাহক তাদের টাকা আদায়ের দাবীতে থানায় গিয়ে হাজির হয়। আরো বিপাকে পড়েন কথিত ম্যানেজার জিহাদ হোসেন।
বিএনপি নেতা হাফিজুল ইসলাম বলেন,জিহাদ হোসেন উক্ত সংস্থায় চাকুরি দেয়ার নামে এলাকার শিক্ষিত বেকার যুবকদের চাকুরি দেয়ার নামে ফাঁদে ফেলে টাকা হাতিয়ে নেয়ার চেষ্টা করে।
কিন্তু সবারই ভাগ্য ভাল যে,প্রতারিত হওয়ার আগেই বিষয়টি জানাজানি হয়ে যায়। জিহাদ হোসেন অনেক নারী-পুরুষকে ঋণ দেয়ার কথা বলে তাদের নিকট থেকে দুই হাজার করে টাকা হাতিয়ে নেয়।
অভিযুক্ত জিহাদ হোসেন বলেন,আমাকে কোম্পানির উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা যে ভাবে বলেছেন,আমি সে ভাবেই কাজ করেছি। কাউকে প্রতারিত করার জন্য আমি টাকা নিইনি। টাকা ফেরত চাওয়ার সাথে সাথেই আমি টাকা ফেরত দিতে রাজি ছিলাম। কিন্তু আমাকে হয়রানি করতেই সোমবার দুপুর সাড়ে ১২ টার দিকে থানা পুলিশে সোপর্দ করা হয়।
জীবননগর থানার অফিসার ইনচার্জ মামুন হোসেন বলেন, ভুক্তভোগী ও অভিযুক্তদের মধ্যে ভুল বুঝাবুঝির কারণে বিরোধের সৃষ্টি হয়।
পরে ভুক্তভোগীদের টাকা ফেরত দেয়ার কারণে বিষয়টি আপস নিস্পত্তি হয়ে যায়। ঘটনার ব্যাপারে কেউ কোন
মামলা দিতে চায়নি।