আবু সাইদ শওকত আলী,ঝিনাইদহ জেলা প্রতিনিধি:-
শীতের আগমনী বার্তা ইতোমধ্যেই ছড়িয়েছে সকালের কোটচাঁদপুর এলাকার দিগন্ত জোড়া ফসলের মাঠ সেজেছে হলুদ সরিষা ফুলে।
মধু সংগ্রহের ব্যস্ততায় মৌমাছিদের গুন্জনে মুখরিত বিস্তীর্ণ সরিষা রাজ্য। অগ্রহায়নের হিমেল বাতাস সরিষা ক্ষেত ছুঁয়ে মন মাতানো গন্ধ পৌঁছে দিচ্ছে লোকালয়ে।
সেই গন্ধ যেমন সবাইকে আকৃষ্ট করছে, তেমনই বাম্পার ফলনের হাতছানিতে কৃষকের মুখে ফুটে উঠেছে আনন্দের হাসি। দেশের প্রধান তৈল জাতীয় ফসলের নাম সরিষা।
চলতি মৌসুমে ইউনিয়নের অনেক পরিমাণ জমিতে উন্নত জাতের সরিষার আবাদ হয়েছে। আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় সরিষা গাছগুলো দ্রুত বেড়ে উঠার পাশাপাশি সুস্থ-সবলও রয়েছে।
আর এ কারণেই চলতি বছর বাড়তি ফলন আশা করছেন এ এলাকার কৃষকেরা।
কৃষকেরা জানান, গত বছর স্থানীয় বাজারে উন্নত জাতের সরিষার দাম ভালো পাওয়ায় তারা এবার উন্নত জাতের সরিষা চাষে আগ্রহী হয়ে উঠেছেন। অন্যদিকে, আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে গত বছরের তুলনায় চলতি বছর প্রত্যেক সরিষা চাষী অধিক মুনাফা পাবেন বলে মনে করেন।
এলাকার কৃষক বাবুর আলী গ্রামের কাগজকে জানান, কৃষি জমিতে উন্নত জাতের সরিষার আবাদ করেছি।
সরিষা জমিতে ধানের আবাদও ভালো হয় এবং বোরো চাষে খরচ কম হয়।
তিনি বলেন, বারি-১৪ সরিষার গাছ লম্বা হওয়ায় এর পাতা মাটিতে ঝরে পড়ে জৈব সারের কাজ করায় জমির উর্বরতা শক্তি বাড়ে । এ জাতের সরিষা আবাদের পর ও জমিতে বোরো আবাদে সারের পরিমাণ কম লাগে।