কুড়িগ্রামের মুক্তিযোদ্ধার জমি নিয়ে বিরোধ আদালতের ১৪৪ ধারা জারী-

জাহিদ হাসান  জিহাদ
স্টাফ রিপোর্টার,
যাদের অদম্য সাহসিকতা, বীরত্বপূর্ণ অবদান এবং ৩০ লক্ষ শহীদ আর ২ লক্ষ মা-বোনের সম্ভমের বিনিময়ে অর্জিত এ স্বাধীনতা আজ তারাই স্বাধীন দেশে নানা ভাবে বঞ্চিত ও হয়রানির শিকার।
কুড়িগ্রামের চিলমারী উপজেলায় রমনা ইউনিয়নের পাত্রখাতা মৌজায় রণাঙ্গনের বীর মুক্তিযোদ্ধা অবসরপ্রাপ্ত সেনা সৈনিক আব্দুল মজিদ তারই প্রতিবেশি কর্তৃক জমি সংক্রান্ত বিরোধে নানাভাবে হয়রানির শিকার হচ্ছে মুক্তিযোদ্ধার পরিবার। চিলমারী উপজেলা ভূমি অফিসের বন্দোবস্ত কেস নং- ৬৬৯/২০১২-২০১৩, তাং- ১১-০৫-২০১২ইং এবং কুড়িগ্রাম জেলা ভূমি অফিসের বন্দোবস্ত কেস নং- ১১৮১৫/১২-১৩, অনুমোদনের তারিখ-১১-০৫-২০১২ইং মোতাবেক ১৫২০/২০১৪ নং বাংলাদেশ সরকারের কাছে  দলিল মূলে ১১ শতক জমির মালিক  মোছাঃ মতিয়া খাতুন। স্বামী বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল মজিদের নিকট প্রতিবেশি (১) মহর আলী, (২) রাশেদা বেগম, (৩) আলতাফ মিয়া, (৪) ময়না বেগম, (৫) মজিবর রহমান বেশ কিছুদিন ধরে কারণে-অকারণে মুক্তিযোদ্ধার পরিবারকে নানাভাবে হয়রানি ও জবর দখলের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন মূলত বিবাদীগণের উল্লেখিত জমিতে কোন কাগজপত্র নেই মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল মজিদ প্রতিবেশিদের নানা প্রকার হুমকির কারণে পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের জীবনের নিরাপত্তা নিয়ে শংকিত রয়েছে। এ ঘটনায় মোছাঃ মতিয়া বেগম নিজে বাদী হয়ে ৫ জনকে আসামী করে অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিসেস্ট্রট আদালতে ১৪৪ ধারা মোতাবেক পিটিশন দাখিল করেছে। যাহার পিটিশন নং-৯৬/২৩। বিজ্ঞ আদালত শান্তি রক্ষার জন্য এবং জমির মালিক আনার দখল ভোগ সহ বিস্তারিত তথ্য দাখিলের জন্য চিলমারী সহকারি ভূমি অফিস কর্তৃক প্রতিবেদন ও বিবাদীগণকে শান্তি শৃঙ্খলা রক্ষার জন্য  ধার্য তারিখে আদালতে উপস্থিত হওয়ার জন্য   চিলমারী মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ বরাবর গত ৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ ইং পত্র প্রেরণ করেছেন।
এ ঘটনায় বীর মুক্তিযোদ্ধা অবসরপ্রাপ্ত সৈনিক আব্দুল মজিদ জানায়, আমি প্রশাসনের কাছে ন্যায় বিচার চাই। আসামীরা আমাদেরকে অকারণে হয়রানি করে আসছে।
এ ব্যাপারে রমনা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান গোলাম আশেক আকা জানায়, বীর মুক্তিযোদ্ধা অবসরপ্রাপ্ত সৈনিক আব্দুল মজিদ এর সমস্যার বিষয়টি আমি শুনেছি। এটা সমাধানের জন্য বসার কথা রয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *