জীবননগর অফিস:
চুয়াডাঙ্গার জীবননগর উপজেলার খয়েরহুদা গ্রামে আখক্ষেতে ছাগল ঢোকানোকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে।
এতে মো. মিল্টন হোসেন (৩৫) নামে এক ব্যক্তি গুরুতর আহত হয়েছেন।
ভুক্তভোগীর অভিযোগের বিবরনে জানাযায়,উপজেলা কেডিকে ইউনিয়নের খয়েরহুদা উত্তরপাড়ার বাসিন্দা মো. টুকু মিয়া (৫৫) প্রতিদিন তার ছাগল দিয়ে একই গ্রামের মিল্টন হোসেনের আখক্ষেতে ক্ষতি করে আসছিলেন।
একই ভাবে শনিবার সকাল ১০টার দিকে খয়েরহুদা বড় বাগান মাঠে মিল্টনের আখক্ষেতে টুকু মিয়ার
ছাগল আখ নষ্ট করতে থাকে।
এ সময় উক্ত আখ ক্ষেতে কর্মরত শ্রমিক ইসরাফিল হোসেন প্রতিবাদ করলে টুকু মিয়া তাকে গালিগালাজ ও হুমকি দেয়।
এ ঘটনায় ঘটনাস্থলে মিল্টন হোসেন নিজে বিষয়টি প্রতিবাদ করলে টুকু মিয়া ক্ষিপ্ত হয়ে প্রকাশ্যে তাকে প্রাণনাশের হুমকি দেয় এবং মারধর শুরু করেন।
এক পর্যায়ে টুকু মিয়া তার হাতে থাকা হাসুয়া দিয়ে মিল্টন হোসেনের মাথায় কোপ মারতে গেলে তিনি হাত দিয়ে প্রতিরোধ করেন।
এতে তার বাম হাতের দুটি আঙুল কেটে মারাত্মক জখম হয়।
ঘটনার সময় উপস্থিত সাক্ষী ইসরাফিল হোসেন ও আতিয়ার রহমানসহ স্থানীয়রা ছুটে এসে মিল্টন হোসেনকে রক্ষা করেন।
পরে আহত অবস্থায় মিল্টনকে জীবননগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয়া হলে চিকিৎসক তার হাতে চারটি সেলাই দেন।
এ ঘটনায় মিল্টন হোসেন অভিযুক্ত টুকু মিয়ার বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।
স্থানীয়রা এ ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত ও দোষীর শাস্তি দাবি করেছেন।
এলাকাবাসীর দাবী অভিযুক্ত টুকু মিয়া গরু পালনের নামে এলাকার কৃষকদের মাঠের ফসল নষ্ট করে আসছেন।
তাকে কেউ প্রতিবাদ করলে হুমকি ধামকী দিতে থাকে। তার হাতে সব সময় একটি হাসুয়া থাকে।
কেডিকে ইউনিয়ন পরিষদের সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ড মেম্বার ইসরাফিল হোসেন বলেন,ঘটনার পর বিষয়টি আমি জানতে পেরেছি।
উভয়পক্ষ থানায় পাল্টাপাল্টি লিখিত অভিযোগও করেছেন বলে শুনেছি। পরিস্থিতি বর্তমানে স্বাভাবিক আছে।
জীবননগর থানার অফিসার ইনচার্জ মামুন হোসেন বিশ্বাস বলেন,ঘটনার ব্যাপারে পৃথক দু’টি লিখিত অভিযোগ পাওয়া গেছে।
তদন্ত শেষে বিস্তারিত জানা যাবে এবং সেই মতে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।