গঞ্জেরখবর ডেস্ক:-
জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ কাদের বলেছেন, সরকার যে সংস্কারের কথা বলছে, তা প্রকৃতপক্ষে নির্বাচন পেছানোর একটি কৌশলমাত্র।
তিনি বলেন, একটি অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচনই দেশের রাজনৈতিক সমস্যার স্থায়ী সমাধানের প্রথম ধাপ।
শনিবার (তারিখ উল্লেখযোগ্য হলে যোগ করুন), জাতীয় পার্টির বর্ধিত সভার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ মন্তব্য করেন।
জি এম কাদের বলেন, “যত দ্রুত সম্ভব একটি সুষ্ঠু নির্বাচন আয়োজন করতে হবে।
তার আগে নির্বাচনকে সুষ্ঠু করতে প্রয়োজনীয় কাঠামোগত পরিবর্তন আনতে হবে। পুলিশ ও প্রশাসন যেন নিরপেক্ষভাবে দায়িত্ব পালন করতে পারে, তা নিশ্চিত করতে হবে।
ডিসি ও এসপিদের নিরপেক্ষ আচরণ নিশ্চিত করাও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।”
তিনি আরও বলেন, “বর্তমান সরকার নির্বাচনের মাধ্যমে বৈধতা অর্জন করেনি। তবে হাইকোর্টের নির্দেশনায় আমরা তাদের কর্মকাণ্ড মেনে নিয়েছি।
এজন্য সরকারকে পুরোপুরি অবৈধও বলা যায় না। তবুও, যেকোনো ধরনের সংস্কার নির্বাচিত সংসদের মাধ্যমে অনুমোদিত হওয়া উচিত।
দেশের অর্ধেক জনগণকে বাইরে রেখে কোনো সংস্কার কার্যকর হবে না।”
জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান অভিযোগ করেন, “নির্বাচন পেছানোর মাধ্যমে সরকার দেশের পরিস্থিতিকে আরও জটিল করে তুলছে।
এতে সামনে বড় সংকটের আশঙ্কা রয়েছে-বিদেশ থেকে আমদানি নির্ভরতা বাড়ছে, এমনকি চাল পর্যন্ত কিনে আনতে হচ্ছে।”
২০১৪ সালের জাতীয় নির্বাচনের প্রসঙ্গে জি এম কাদের বলেন, সে সময় তিনি এবং জাতীয় পার্টির ৭০ শতাংশ নেতাকর্মী নির্বাচনে অংশ নেননি।
তবে ২০১৮ সালের নির্বাচনে দেশের সব রাজনৈতিক দলই অংশগ্রহণ করেছিল বলে উল্লেখ করেন তিনি।
২০২৪ সালের নির্বাচনে অংশগ্রহণ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “আমাদের কিছু বিশেষ পরিস্থিতির কারণে নির্বাচনে যেতে বাধ্য করা হয়েছে।
এটি বেআইনি নয়। তবে নির্বাচনের আগে এবং পরে সরকারের কঠোর সমালোচনা করেছি।
নির্বাচন সঠিক হয়নি-এ নিয়ে আমি বক্তব্য দিয়েছি, কলাম লিখেছি।”
সরকারের বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্পে দুর্নীতি ও লুটপাটেরও কঠোর সমালোচনা করেন জি এম কাদের।
তিনি বলেন, “গ্যাস, বিদ্যুৎ, পদ্মা সেতুসহ নানা খাতে দুর্নীতি হয়েছে, যার বিরুদ্ধে আমি বরাবরই সোচ্চার ছিলাম।”