গৌরীপুর (ময়মনসিংহ) সংবাদদাতা:-
ময়মনসিংহের গৌরীপুরে ছাত্রজনতার আন্দোলনে ৩ জন নিহতের প্রকৃত ঘটনা আড়াল করে ব্যক্তি শত্রুতায় আসামি বানিয়ে চাঁদাবাজি করা হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন বৈষম্যবিরোধীরা। এতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনকারীদের কোনো সম্পৃক্ততা নেই বলেও জানান তারা।
বুধবার (৪ সেপ্টেম্বর) বিকেলে গৌরীপুর প্রেসক্লাব মিলনায়তনে এক সংবাদ সম্মেলনে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনকারীরা এই অভিযোগ করেন।
সংবাদ সম্মেলন বক্তব্য রাখেন স্থানীয় সমন্বয়ক মেহদী হাসান, নাইম আহমেদ দিহান, শামসুজ্জামান দুর্জয়, নূর মোহাম্মদ সিদ্দীকী, রিদওনুল, অর্পিতা কবির এ্যানি, শিমুল মিয়া, মোজাম্মেল হক, রকিবুল ইসলাম, ছোটন মিয়া, রাজিব প্রমুখ।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে তারা বলেন, বিগত ৮ জুন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কোটা সংস্কার ও বৈষম্যবিরোধী শিক্ষার্থীদের আহ্বানে গৌরীপুর হারুন পার্কে প্রথমে একটি মানববন্ধনের মাধ্যমে স্থানীয়ভাবে আন্দোলন শুরু হয়। এরপর গত ১৭ জুলাই গৌরীপুর সরকারি কলেজের শিক্ষার্থীরা পৌর শহরে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করলে ছাত্রলীগের সন্ত্রাসী বাহিনী ও পুলিশ তাদের ওপর হামলা চালায়।
এতে বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থী মারাত্মক আহত হয়। এরপর বিগত ১৮ ও ১৯ জুলাই ময়মনসিংহ-কিশোরগঞ্জ মহাসড়কের কলতাপাড়া বাজারে বাংলা ব্লকেড কর্মসূচি পালন করে শিক্ষার্থীরা। পরবর্তী সময়ে বিগত ২০ জুলাই আওয়ামী ফ্যাসিবাদী সরকার কারফিউ জারি করলে শিক্ষার্থী-জনতা কারফিউ ভেঙে সকাল থেকে কলতাপাড়া বাজারের মহাসড়কে অবস্থান নেয়।
এ সময় ছাত্রজনতার অবস্থানের খবর পেয়ে গৌরীপুর থানা পুলিশের একটি টিম গিয়ে তাদের ওপর প্রথমে রাবার বুলেট এবং পরে সরাসরি গুলি চালায়। এতে নূরে আলম রাকিব, বিপ্লব হাসান ও জুবায়ের আহমেদ নামে তিনজন শহীদ হয় এবং গুলিবিদ্ধ হয়ে আহত হয় কমপেক্ষ ২৩ জন।
এ ঘটনায় পর ছাত্রজনতার আন্দোলনে স্বৈরাচার শেখ হাসিনা দেশ ছেড়ে পালিয়ে যাওয়ার পর স্থানীয় অতি উৎসাহী কিছু মানুষ কলতাপাড়ার ঘটনাকে কেন্দ্র করে একাধিক মামলা দায়ের করছেন। এসব মামলায় প্রকৃত অপরাধীদের আড়াল করে নিরপরাধ কিছু মানুষকে ব্যক্তিগত শত্রুতায় আসামি করে অন্তরালে চাঁদাবাজী করছে। কিন্তু নিরপরাধ মানুষকে হয়রানি করা জুলাই বিপ্লবের আদর্শের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়। আমরা এই ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।