জীবননগর অফিস:-
চুয়াডাঙ্গার জীবননগর কেডিকে ইউনিয়নের সংরক্ষিত এক নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক নারী সদস্য শিরিনা আক্তারের দু’টি খাসি ছাগল সুদ ব্যবসায়ীরা ধরে নিয়ে গিয়ে তা বিক্রি করে দেয়া হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
ছাগল দু’টির বর্তমান বাজার মুল্য ২৫ হাজার টাকা। ঘটনাটি শনিবার দুপুরেরর সংঘটিত হয়েছে। এ ঘটনায় জীবননগর থানায় ভুক্তভোগী সাবেক মেম্বার শিরিন আক্তার লিখিত অভিযোগ করেছেন।
অভিযুক্ত সুদ ব্যবসায়ী হাসিনা খাতুন দেহাটি গ্রামের পুলিশের তালিকাভুক্ত অপরাধী চক্রের সদস্য কবির হোসেনের স্ত্রী। এদিকে এ ঘটনায় এলাকার সচেতন নাগরিক সমাজের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।
ভুক্তভোগী পরিবার ও এলাকাবাসী সুত্র জানায়, জীবননগর উপজেলার কেডিকে ইউনিয়নের দেহাটি গ্রামের মুত মোজাম্মেল হকের ছেলে সাইদুর রহমান খোকন গত ৫ বছর আগে একই গ্রামের কবির হোসেনের স্ত্রী হাসিনা খাতুনের(৫৫) নিকটে থেকে সুদে টাকা ধার নেয়।
বছর শেষে হাসিনা সুদে আসলে খোকনের নিকট মোটা অংকের টাকা দাবী করে। কিন্তু খোকন তার পারিবারিক অভাব অনটনের কারণে হাসিনা খাতুনের সুদাসল টাকা দিতে না পেরে হাসিনা খাতুনের হুমকি ধামকীতে খোকন গত ৩ বছর আগে বাড়ী ছেলে পালিয়ে যায়।
এ সুযোগে সুদ ব্যবসায়ী হাসিনা খাতুন ও তার তিন মেয়ে একজোট হয়ে খোকনের বাড়ী দখল করে বসবাস শুরু করে। সুদ ব্যবসায়ী হাসিনা খাতুন শুধু বাড়ী দখলেই ক্ষ্যান্ত হয়নি খোকনের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা দিয়ে হয়রানি করে আসছে।
মামলার রায় এখনও পর্যন্ত না হওয়ায় হাসিনা এবার খোকনের অন্যান্য ভাইদের বাড়ী থেকে উচ্ছেদ করতে নানা ভাবে অত্যাচার নির্যাতন শুরু করেছে। তারই ধারাবাহিকতায় গত শনিবার সকালে খোকনের ভাই ওবাইদুল হক মিঠুর স্ত্রী শিরিন আক্তারে দুটি খাসি ছাগল বাড়ির পাশে বেঁধে রাখেন।
ছাগল দু’টি দুপুরের দিকে হাসিনা খাতুন ও তার তিন মেয়ে দড়ি কেটে ছাগল দুটি চুরি করে নিয়ে যায়। ছাগল দু’টির বর্তমান বাজার মুল্য ২৫ হাজার টাকার বেশী।
প্রতিবেশীরা টের পেয়ে খবর দিলে শিরিন আক্তারের মা রশিদা বেগম তাদের বাড়িতে গিয়ে ছাগল দু’টি বাঁধা দেখতে পেয়ে তিনি তা নিয়ে চলে আসার সময় হাসিনা খাতুন ও তার মেয়ে সামসুন নাহার,তাসলিমা ও আনিকা দা ও বটি নিয়ে রমিদা বেগমের ওপর চড়া হয়ে ছাগল দু’টি আবারও ছিনিয়ে নেয়।
এদিকে এ ঘটনায় শিরিন আক্তারের দেবর সাফায়েত হোসেন টোটন বাদী হয়ে জীবননগর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করলেও পুলিশ ছাগল দু’টি এখন পর্যন্ত উদ্ধার করতে পারিনি।
সাবেক মহিলা মেম্বার শিরিন আক্তার বলেন,আমার দেবর হাসিনা খাতুনদের নিকট থেকে কি ভাবে টাকা নিয়েছে না নিয়েছে সেটা একান্তই তাদের ব্যাপার। আমরা কেন তার দায়ভার নিতে যাব।
একজনের দায়দেনার জন্য অন্যজনের ছাগল ধরে নিয়ে যাবে কিংবা অত্যাচার নির্যাতন করবে তা কি ভাবে সম্ভব। আমার বাড়ীর ছাগল ধরে নিয়ে যাওয়ার ব্যাপারে থানায় লিখিত অভিযোগ করেও পুলিশ এখন পর্যন্ত ছাগল উদ্ধারে কোন ব্যবস্থা নিতে পারিনি। আমরা তো অপরাধীদের নিকট রীতিমত জিম্মি হয়ে পড়েছি।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে দেহাটি গ্রামের কয়েকজ বলেন,আলোচিত হাসিনা তার মেয়েরা ভয়ংকর। কেউ তাদের অন্যায কাজের প্রতিবাদ করতে গেলে মিথ্যা মামলা দিয়ে ফাঁসানোর ভয়ে সকলেই ভীত।
এ ব্যাপারে জীবননগর থানার অফিসার ইনচার্জ এসএম জাবীদ হাসান বলেন অভিযোগটি প্রাথমিক তদন্তপুর্বক অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে দ্রæত আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে।