জীবননগর অফিস:-
চুয়াডাঙ্গার জীবননগর উপজেলার পিয়ারাতলা নামক স্থানে তালাকপ্রাপ্ত স্ত্রীকে আবার বিয়ের প্রলোভন দিয়ে একটি কলা বাগানের ভিতরে ডেকে নিয়ে সাবেক স্বামী ও স্বামীর বন্ধুর বিরুদ্ধে পালাক্রমে ধর্ষনের অভিযোগ উঠেছে। ঘটনাটি গত বুধবার রাত সাড়ে ৮ টার দিকে সংঘটিত হয়েছে।
এ ঘটনায় জীবননগর থানায় একটি মামলা হয়েছে। ঘটনার সাথে জড়িত ধর্ষক সাবেক স্বামী ও স্বামীর বন্ধু সৈয়দ মিস্ত্রিকে পুলিশ গ্রেফতার করেছেন।
জীবননগর সীমান্ত ইউনিয়নের আব্দুর রহিমের কন্যা পিংকি খাতুন(২৫) বলেন,মনোহরপুর শিমুলতলাপাড়ার নজরুল ইসলামের ছেলে বাবু মিয়া ওরফে মেজোর সাথে আমার কয়েক বছর আগে বিয়ে হয়।
বিয়ের পর কিছু দিন যেতে না যেতেই সে আমাকে নানা ভাবে অত্যাচার নির্যাতন করতে থাকে এবং আমার প্রতি সঠিক ভাবে কোন দায়িত্ব পালন করে না। এক পর্যায়ে আমাদের দাম্পত্য জীবনে ছাড়াছাড়ি হয়ে যায়।
কিছুদিনের মাথায় মেজো আবারও আমার সাথে বিয়ে করতে চায় এবং আমাকে বিয়ের কথা বলে বিভিন্ন স্থানে নিয়ে স্ত্রী পরিচয়ে আমার সাথে রাতযাপন করে। আমি কোন উপায় না পেয়ে তার সাথে বিয়ে করতে রাজি থাকায় তার সব অন্যায় অত্যাচার মেনে নিই। কিন্তু মেজো আমাকে বিয়ে না করে কালক্ষেপন করতে থাকে।
এদিকে গত বুধবার রাত সাড়ে টার দিকে মেজো আমাকে পিয়ারাতলা বাসষ্ট্যান্ড সংলগ্ন জনৈক নজরুলের হোটেলের পিছনে একটি কলা বাগানের ভিতরে ডেকে নেয়।
সেখানে মেজোর সাথে তার বন্ধু সৈয়দ মিস্ত্রিকেও দেখা যায়। তারা সেখানে আমার সহিত বিয়ে করবে কি করবে না সে ব্যাপারে কথাবার্তার এক পর্যায়ে মেজো আমার সাথে যৌন মিলন ঘটায়। পরে মেজো সেখানে আমাকে ও তার বন্ধু সৈয়দ মিস্ত্রিকে রেখে বলে আসছি বলে চলে যায়।
পরে সৈয়দ মিস্ত্রি আমার ওড়না দিয়ে আমার দু’হাত পিছন দিক করে বেঁধে জোর করে পর পর তিন বার যৌন মিলন করে। আমি যন্ত্রণায় ছটফট ও আর্তচিৎকার দিলে রাস্তা দিয়ে যাওয়া লোকজন সেখানে গিয়ে আমাকে উদ্ধার করেন। পরে আর মেজোকে দেখা যায় না।
মনোহরপুর ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক মেম্বার আলী হোসেন বলেন,মেজো ও সৈয়দ গ্রেফতারের পর বিষয়টি আমরা জানতে পারি। ঘটনার বিষয়টি স্থানীয় ভাবে আপস নিস্পত্তির মত না হওয়ায় আমরা সে ব্যাপারে চেষ্টা করিনি।
জীবননগর থানার অফিসার ইনচার্জ এসএম জাবিদ হাসান বলেন,ঘটনার সাথে জড়িত ধর্ষক মেজো ধর্ষিতা পিংকি খাতুনের সাবেক স্বামী এবং সৈয়দ মিস্ত্রি মেজোর বন্ধু। তাদেরকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
ভিকটিম পিংকি খাতুনের ডাক্তারি পরিক্ষা সম্পন্ন করার পর ধর্ষণের ব্যাপারটি নিশ্চিত হওয়া যাবে। গ্রেফতারকৃত ধর্ষকদের বুধবার সকালে আদালতে প্রেরন করা হবে।