শৈলকূপায় জমি সংক্রান্ত বিরোধে কৃষকের ফসল ধ্বংস: দেড় লক্ষ টাকার ক্ষতি, অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু

আবু সাইদ শওকত আলী, বিশেষ প্রতিনিধি:-

ঝিনাইদহের শৈলকুপা উপজেলায় জমি সংক্রান্ত বিরোধের জেরে প্রতিপক্ষের দ্বারা বিষাক্ত ঘাস মারা ওষুধ প্রয়োগ করে এক কৃষকের দুই বিঘা

জমির তিলের চারা নষ্ট করার অভিযোগ উঠেছে। ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার ১ নং ত্রিবেণী ইউনিয়নের নিশ্চিন্তপুর গ্রামে।

এতে প্রায় দেড় লক্ষ টাকার ক্ষতির মুখে পড়েছেন ভুক্তভোগী কৃষক ইমন আহমেদ মিল্টন হোসেন।

শুক্রবার সকালে সরেজমিনে গেলে দেখা যায়, ক্ষতিগ্রস্ত কৃষক মাথায় হাত দিয়ে কান্নায় ভেঙে পড়েছেন।

তার দুই বিঘা জমির তিলের চারা সম্পূর্ণরূপে বিবর্ণ হয়ে ঝলসে গেছে। ভুক্তভোগীর দাবি, গত বৃহস্পতিবার বিকেলে প্রতিপক্ষরা পরিকল্পিতভাবে তার জমিতে বিষাক্ত ঘাস মারা ওষুধ ছিটিয়ে ফসল নষ্ট করে দেয়।

কৃষক ইমন আহমেদ মিল্টন অভিযোগ করেন, “আমি দলিল মূলে ক্রয়কৃত জমিতে দীর্ঘদিন ধরে চাষাবাদ করে আসছি। কিন্তু প্রতিপক্ষরা দীর্ঘদিন ধরে আমার জমি দখলের চেষ্টা করছে এবং

আগেও একাধিকবার ফসল নষ্ট করেছে।” তিনি অভিযুক্তদের নাম উল্লেখ করে বলেন, “এ ঘটনায় জড়িতদের মধ্যে রয়েছেন আসাফুজ্জামান, লুৎফর রহমান, মনোয়ার হোসেন,

সেকেন্দার আলী, মোয়াজ্জেম হোসেন (সকলের পিতা মৃত আব্দুল লতিফ মন্ডল), আনোয়ার হোসেন,

জাফর, ইকবাল হোসেন (পিতা মনোয়ার হোসেন), এবং মুদাব্বির হোসেন (পিতা আশরাফুজ্জামান)। এদের অনেকেই এলাকায় চিহ্নিত সন্ত্রাসী হিসেবে পরিচিত।”

এ বিষয়ে স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তি রুহুল আমিন বলেন, “একজন কৃষকের এত পরিশ্রমে রোপণ করা তিল গাছ এভাবে নষ্ট করে দেওয়া খুবই নিন্দনীয়।

প্রশাসনের উচিত দ্রুত তদন্ত করে দোষীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া।”

স্থানীয় বাসিন্দা মোঃ টুটুল হোসেন বলেন, “সামান্য বিরোধে কৃষকের এমন ক্ষতি করা অমানবিক। আমরা চাই দোষীরা আইনের আওতায় আসুক।”

শৈলকুপা থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) তরিকুল ইসলাম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন,

“আমরা ঘটনাস্থলে গিয়ে প্রাথমিক তদন্তে ফসল নষ্ট করার আলামত পেয়েছি।”

এ বিষয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাসুম খান জানান,

“ভুক্তভোগী কৃষকের লিখিত অভিযোগ গ্রহণ করা হয়েছে। আমরা তদন্ত করে আইন অনুযায়ী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করব।”

ঘটনার পর স্থানীয় কৃষকদের মধ্যে ব্যাপক ক্ষোভ ও উদ্বেগ দেখা দিয়েছে। তারা আশা করছেন, প্রশাসনের কার্যকর পদক্ষেপে দোষীরা শাস্তি পাবে এবং ভবিষ্যতে এ ধরনের ফসল বিনষ্টের ঘটনা বন্ধ হবে।

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *