আবু সাইদ শওকত আলী,বিশেষ প্রতিনিধি:
বর্তমান রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে “আগে নির্বাচন, না সংস্কার”—এই প্রশ্নটি জনমনে গভীর
আলোচনার জন্ম দিয়েছে। বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও জোট এ বিষয়ে ভিন্নমত পোষণ করছে, যা
ভবিষ্যতের রাজনৈতিক গতিপথকে গভীরভাবে প্রভাবিত করতে পারে।
‘চব্বিশের চেতনায়’ উদ্বুদ্ধ জাতীয় নাগরিক সংহতি (এনসিসি), জামায়াতে ইসলামী বাংলাদেশ,
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশসহ সমমনা ইসলামী দলগুলো স্পষ্টভাবে ‘আগে সংস্কার’–এর পক্ষে
অবস্থান নিয়েছে। তাদের দাবি, বর্তমান শাসক দল আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে ওঠা ফ্যাসিবাদ ও
দুর্নীতির অভিযোগের সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচার না হওয়া পর্যন্ত নির্বাচন একটি গ্রহণযোগ্য সমাধান হতে পারে না।
অন্যদিকে, ‘একাত্তরের চেতনায়’ বিশ্বাসী বিএনপিকে ঘিরে কিছু বিতর্কিতঘটনা ও অভিযোগ রাজনৈতিক অঙ্গনে প্রশ্নের জন্ম দিয়েছে।
ভারতের সঙ্গে বিএনপির ঘনিষ্ঠ অবস্থান, এবং দলের কিছু নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে চাঁদাবাজি ও
অসামাজিক কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগ এনসিসিসহ অন্যান্য ইসলামী দলগুলোর আস্থার ঘাটতির কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
এ প্রেক্ষাপটে, এসব দল মনে করে, নির্বাচন আগে হলে বিদ্যমান ব্যবস্থার কোন মৌলিক পরিবর্তন
হবে না এবং দুর্নীতির বিচার প্রক্রিয়া বাধাগ্রস্ত হতে পারে। তাই তারা নির্বাচনের আগে রাজনৈতিক ও প্রশাসনিক কাঠামোর সংস্কারের দাবিতে সোচ্চার।
বাংলাদেশের রাজনীতিতে এই বিভক্ত অবস্থান ভবিষ্যতে সংঘাতের জন্ম দিতে পারে কি না, তা
নিয়ে সচেতন মহলে উদ্বেগ তৈরি হয়েছে। সাধারণ মানুষও উদ্বিগ্ন—নির্বাচনের আগে কি প্রয়োজনীয় সংস্কার হবে, না কি আগেই হবে নির্বাচন?