গঞ্জেরখবর ডেস্ক:-
ডিআইজি মো. রেজাউল হকের উদ্যোগে নিয়োগ ও বদলিতে লটারি পদ্ধতি, জনবান্ধব সেবায় অগ্রগতি।
খুলনা রেঞ্জে পুলিশের কার্যক্রমে দৃশ্যমান হয়েছে কাঠামোগত উন্নয়ন ও নীতি-ভিত্তিক সংস্কার।
রেঞ্জের উপ-মহাপরিদর্শক (ডিআইজি) মো. রেজাউল হক, পিপিএম-এর দিকনির্দেশনায়
পোস্টিং ও বদলির ক্ষেত্রে স্বচ্ছতা নিশ্চিত করতে চালু হয়েছে লটারি পদ্ধতি।
এতে নিয়োগ ও পদায়ন কার্যক্রমে ব্যক্তিক পছন্দ বা প্রভাবের সুযোগ কমেছে বলে সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, পদায়নের ক্ষেত্রে নির্ধারিত যোগ্যতা ও অভিজ্ঞতার ভিত্তিতে কর্মকর্তাদের তালিকা প্রস্তুতের পর লটারির মাধ্যমে কর্মস্থল নির্ধারণ করা হচ্ছে।
এই প্রক্রিয়ায় অংশগ্রহণকারী সদস্যরা পাচ্ছেন সমান সুযোগ এবং কর্তৃপক্ষের জবাবদিহিতা নিশ্চিত হচ্ছে।
পারফরমেন্স মনিটরিং ও জবাবদিহি খুলনা রেঞ্জের আওতাধীন প্রতিটি থানায় নিয়মিত ভাবে অফিসারদের পারফরমেন্স অ্যাসেসমেন্ট করা হচ্ছে।
এ লক্ষ্যে চালু হয়েছে অভ্যন্তরীণ মূল্যায়ন টুলস ও তথ্যভিত্তিক ফিডব্যাক ব্যবস্থা।
এতে কর্মদক্ষতার ভিত্তিতে পুরস্কার ও প্রয়োজনে ব্যবস্থা গ্রহণ সহজ হয়েছে।
সাফল্য ও বাস্তবমুখী উদাহরণ নতুন নেতৃত্বে পুলিশের কয়েকটি উল্লেখযোগ্য সাফল্য
রেঞ্জজুড়ে আলোচিত হয়েছে:মাগুরা: ৮ বছরের এক শিশুকে ধর্ষণ ও হত্যার ঘটনায় বিজ্ঞানের
সহায়তায় (ডিএনএ বিশ্লেষণ) প্রকৃত অপরাধী চিহ্নিত করে গ্রেফতার করা হয়েছে। মামলার অগ্রগতিতে প্রযুক্তির যথাযথ ব্যবহারের প্রশংসা করেন আদালত।
বাগেরহাট: আন্তর্জাতিক সহযোগিতার মাধ্যমে তিনজন শ্রীলঙ্কান নাগরিককে অপহরণকারীদের কাছ থেকে উদ্ধার করা হয়।
অপারেশনে ব্যবহার করা হয় সাইবার নজরদারি ও স্থান নির্ণয় প্রযুক্তি।
খুলনা মহানগর: অগ্নিকাণ্ডে গৃহহীন এক বৃদ্ধার পাশে দাঁড়িয়ে পুলিশ সদস্যরা ব্যক্তি উদ্যোগে সহায়তা তহবিল গঠন করে পুনর্নির্মাণে সহায়তা প্রদান করেন।
খুলনা রেঞ্জের সব জেলায় পুলিশ এখন নিয়মিত জনগণের সঙ্গে মতবিনিময় সভা, ওপেন হাউস
ডে ও কমিউনিটি পুলিশিং কার্যক্রম পরিচালনা করছে। এর মাধ্যমে স্থানীয় সমস্যা চিহ্নিতকরণ ও সমাধানে তৃণমূলের অংশগ্রহণ বাড়ছে।
বস্তুত, পুলিশের কার্যক্রম এখন সীমাবদ্ধ নেই কেবল অপরাধ নিয়ন্ত্রণে। জনগণের সহায়তায় মানবিক সহায়তা,সড়ক নিরাপত্তা,
নারী-শিশু সুরক্ষা ও মাদকবিরোধী সচেতনতায় তারা যুক্ত হচ্ছেন আরও কার্যকরভাবে। ডিআইজি মো. রেজাউল হকের প্রশাসনিক সংস্কার,
নেতৃত্ব ও দূরদর্শিতার ফলে খুলনা রেঞ্জে পুলিশের ভেতর জবাবদিহিমূলক সংস্কৃতি গড়ে উঠছে। স্বচ্ছ পোস্টিং ব্যবস্থা,
কর্মদক্ষতার মূল্যায়ন এবং মানবিক দৃষ্টিভঙ্গি পুলিশ সদস্যদের পেশাদারিত্ব বাড়াতে সহায়ক হচ্ছে।
জনগণের কাছে পুলিশের আস্থা ফেরাতে এবং সেবাকে কার্যকর ও মানবিক করতে এই রকম
নীতিভিত্তিক উদ্যোগ ভবিষ্যতে দেশের অন্যান্য রেঞ্জেও মডেল হিসেবে বিবেচিত হতে পারে।