জীবননগর অফিস :-
চুয়াডাঙ্গার জীবননগর উপজেলায় নারীর প্রতি সহিংসতা, বিশেষ করে ইভটিজিং ও বাল্যবিবাহ প্রতিরোধে ছাত্রছাত্রীদের সচেতন করতে অনুষ্ঠিত হয়েছে এক তাৎপর্যপূর্ণ সেমিনার।
মঙ্গলবার সকাল ১০টা থেকে ১২টা পর্যন্ত আন্দুলবাড়ীয়া গার্লস স্কুলে এই সচেতনতামূলক অনুষ্ঠানটির আয়োজন করেন উপজেলা
বি.আর.ডি.বি (বাংলাদেশ পল্লী উন্নয়ন বোর্ড। অফিসার জনাব মোঃ জামিল আহমেদ।
সেমিনারে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জীবননগর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) জনাব মামুন হোসেন বিশ্বাস।
বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন আন্দুলবাড়ীয়া গার্লস স্কুলের প্রধান শিক্ষক এবং বিদ্যালয়ের সিনিয়র শিক্ষিকা ও অন্যান্য শিক্ষকবৃন্দ।
সেমিনারের মূল প্রতিপাদ্য ছিল ‘ইভটিজিং ও বাল্যবিবাহ প্রতিরোধে তরুণ প্রজন্মের সচেতনতা
ও দায়িত্বশীলতা’, যেখানে ছাত্রীদের মধ্যে সচেতনতা বাড়ানো এবং তাদের আত্মবিশ্বাসজা গিয়ে তোলার উদ্দেশ্যে বিভিন্ন দিকনির্দেশনামূলক আলোচনা করা হয়। অনুষ্ঠানে
প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন,জীবননগর থানার অফিসার ইনচার্জ মামুন হোসেন বিশ্বাস। তিনি তার বক্তব্যে বলেন,
“ইভটিজিং এবং বাল্যবিবাহ সমাজের এক মারাত্মক ব্যাধি। এসব রোধে শুধু প্রশাসন নয়, শিক্ষার্থী,
শিক্ষক ও অভিভাবকদের সম্মিলিত ভূমিকা প্রয়োজন।
প্রতিটি মেয়ে শিক্ষিত ও সচেতন হলে সমাজ থেকে এসব অপরাধ একদিন নিশ্চিহ্ন হবে।”
বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন,উপজেলা বি.আর.ডি.বি অফিসার মোঃ জামিল আহমেদ। তিনি বলেন, “আজকের মেয়েরা আগামী দিনের নেতৃত্ব দিবে। তাদের নিরাপদ পরিবেশে বেড়ে ওঠার সুযোগ করে দেওয়াই আমাদের লক্ষ্য। তাই এই সেমিনার আয়োজন করেছি যেন তারা সঠিক তথ্য জানে ও সাহসিকতার সঙ্গে যেকোনো অন্যায়ের প্রতিবাদ করতে শেখে।”
অনুষ্ঠানে উপস্থিত শিক্ষার্থীরা ব্যাপক আগ্রহের সঙ্গে সেমিনারে অংশ নেয় এবং তারা ইভটিজিং ও বাল্যবিবাহের কুফল সম্পর্কে সচেতন হওয়ার
অঙ্গীকার ব্যক্ত করে।সেমিনার শেষে শিক্ষার্থীদের মাঝে সচেতনতামূলক লিফলেট ও পরামর্শপত্র
বিতরণ করা হয়। পুরো আয়োজনটি শান্তিপূর্ণ ও সুশৃঙ্খলভাবে সম্পন্ন হয় বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে।
এ ধরনের উদ্যোগ ভবিষ্যতেও অব্যাহত থাকবে বলে আয়োজকরা আশাবাদ ব্যক্ত করেন। স্থানীয়
শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো এ ধরনের সামাজিক সচেতনতা বৃদ্ধিমূলক কার্যক্রমে সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছেন।