জীবননগর অফিস:
পবিত্র ঈদ-উল-ফিতরের দীর্ঘ ছুটিতে যখন দেশের অধিকাংশ সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠান ছুটির
আমেজে ছিল, ঠিক তখনও জীবননগর উপজেলার মা ও শিশু স্বাস্থ্যসেবায় কর্মরতরা
দায়িত্ব পালন করেছেন নিষ্ঠা ও আন্তরিকতার সাথে। ছুটির দিনগুলোতে যেন প্রান্তিক মানুষের
স্বাস্থ্যসেবা ব্যাহত না হয়-সে লক্ষ্যে পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের নির্দেশনায় টানা ৯ দিন
বিশেষ সেবা কার্যক্রম পরিচালনা করেছে উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা বিভাগ।
পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এবং বিভাগীয় পরিচালকের সরাসরি নির্দেশনার আলোকে ৫ জুন থেকে ১৩ জুন ২০২৫ পর্যন্ত
ঈদের ছুটির পুরো সময়জুড়ে উপজেলার চারটি ইউনিয়নের উথলী (সাবেক), বাঁকা
(সাবেক),আন্দুলবাড়ীয়া ও সীমান্ত স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্রগুলো খোলা রেখে বিশেষ সেবা দেওয়া হয়।
উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা অফিস সূত্রে জানা যায়, এই সময়ে স্বাস্থ্যকর্মীরা বিনা বিরতিতে মাঠে
কাজ করেছেন। তাদের আন্তরিক প্রচেষ্টায় ঈদের ছুটিতেও প্রান্তিক জনসাধারণ পেয়েছে
প্রয়োজনীয় স্বাস্থ্যসেবা। এ সময়ের উল্লেখযোগ্য
কার্যক্রমগুলো হচ্ছে-২৯ জন গর্ভবতী মাকে
কেন্দ্রভিত্তিক গর্ভকালীন স্বাস্থ্যসেবা ও পরামর্শ প্রদান,৩টি নিরাপদ ও সফল প্রসব সেবা,তালিকাভুক্ত গর্ভবতী মায়েদের মধ্যে
মোবাইল নম্বরের মাধ্যমে ৩৮ জনকে ফোনে সেবা ও পরামর্শ প্রদান,১৭ জন মাকে প্রসব-পরবর্তী স্বাস্থ্যসেবা,৩টি মা সমাবেশের আয়োজন,
যার মাধ্যমে সচেতনতা বৃদ্ধির কাজ করা হয়,২৪ জন শিশুকে সাধারণ স্বাস্থ্যসেবা প্রদান,এবং পরিবার পরিকল্পনা পদ্ধতিভিত্তিক সেবা বিতরণ।
এই পুরো কার্যক্রমে স্বাস্থ্যকর্মীরা ছিলেন অত্যন্ত সজাগ ও দায়িত্বশীল। তারা ছুটির দিনে শুধু
দাপ্তরিক দায়িত্বই পালন করেননি, বরং মানুষের প্রতি দায়িত্ববোধের অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন।
সেবা গ্রহণকারী মা ও অভিভাবকদের কাছ থেকেও ইতিবাচক সাড়া পাওয়া গেছে।
তাঁরা জানান, ছুটির দিনেও চিকিৎসা ও পরামর্শ পাওয়া তাদের জন্য এক বিশাল সহায়তা হয়ে এসেছে।
জীবননগর উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা বিভাগ সূত্রে আরও জানা গেছে, ভবিষ্যতেও যেকোনো
বিশেষ সময় বা ছুটিতে এই ধরনের সেবামূলক কার্যক্রম চালিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে।
এই উদ্যোগে মাও শিশু স্বাস্থ্যসেবারধারাবাহিকতা রক্ষা হয়েছে,পাশাপাশি সরকারি নির্দেশনার যথাযথ বাস্তবায়নের মাধ্যমে
জনস্বাস্থ্য ব্যবস্থাপনায় এক অনুকরণীয় দৃষ্টান্ত স্থাপন করা হয়েছে।