ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক হলেন চকরিয়ার কৃতি সন্তান শাউরিন আহমদ খান একাডেমিক কৃতিত্ব ও অধ্যবসায়ে অনন্য উচ্চতায় এক মফস্বলকন্যা

নিজস্ব প্রতিবেদক,গঞ্জেরখবর:

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের একাউন্টিং অ্যান্ড  ইনফরমেশন সিস্টেমস বিভাগে প্রভাষক হিসেবে যোগদান করেছেন কক্সবাজারের চকরিয়ার মেয়ে শাউরিন আহমদ খান।

২০২৫ সালের ১৮ জুন আনুষ্ঠানিকভাবে তিনি বিভাগের প্রভাষক পদে যোগদান করেন।

শাউরিন আহমদ খান কক্সবাজার জেলার চকরিয়া পৌরসভার ৫ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা অবসরপ্রাপ্ত

সেনাসদস্য সার্জেন্ট সাহাব উদ্দিন আহমদ খান এবং প্রয়াত প্রাথমিক বিদ্যালয় শিক্ষিকা বুলবুল

জান্নাতের কন্যা। তিন ভাইবোনের মধ্যে তিনি দ্বিতীয়। ব্যক্তিগত জীবনে তিনি বিবাহিত;

তাঁর স্বামী আনিসুজ্জামান চকরিয়া কেন্দ্রীয় উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক হিসেবে কর্মরত।

একাডেমিক কৃতিত্বের ধারাবাহিকতা শাউরিনের শিক্ষাজীবন শুরু থেকেই কৃতিত্বে ভরপুর।

তিনি ২০১৪ সালে চকরিয়া কেন্দ্রীয় উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এসএসসি এবং ২০১৬ সালে চট্টগ্রাম

সরকারি মহসিন কলেজ থেকে এইচএসসি পরীক্ষায় জিপিএ-৫.০০ অর্জন করেন।

এরপর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবসায় প্রশাসন অনুষদের হিসাববিজ্ঞান বিভাগে ভর্তি হন এবং

স্নাতকে দ্বিতীয় স্থান ও স্নাতকোত্তরে প্রথম স্থান অর্জন করে উভয় ডিগ্রি কৃতিত্বের সঙ্গে সম্পন্ন করেন।

শিক্ষকতার প্রতি ভালোবাসা:

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে যোগদানের পূর্বে শাউরিন আহমদ খান বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব প্রফেশনালস (BUP)-এ প্রভাষক হিসেবে কর্মরত ছিলেন।

নতুন কর্মস্থলে যোগদানের অনুভূতি প্রকাশ করে শাউরিন বলেন, “শিক্ষকতা আমার শখ ছিল, আর আল্লাহ সেই শখ পূরণ করেছেন।

এখন সময় এসেছে জাতিকে কিছু ফিরিয়ে দেওয়ার। আমি আমার নৈতিক দায়িত্ববোধ থেকে

সর্বোচ্চ চেষ্টা করবো একজন আদর্শ শিক্ষক হিসেবে ভূমিকা রাখতে।”

তিনি আরও বলেন, “যে বিভাগের ছাত্রী ছিলাম, আজ সে বিভাগের শিক্ষিকা—এটি আমার

জীবনের সবচেয়ে আনন্দের এবং গর্বের মুহূর্ত। দেশের শীর্ষ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে মফস্বলের একটি মেয়েকে জায়গা করে দেওয়ায় আমি আল্লাহর প্রতি কৃতজ্ঞ।”

স্থানীয়দের গর্ব:-

চকরিয়া এলাকার শিক্ষা ও সামাজিক অঙ্গনে শাউরিনের এই অর্জন প্রশংসিত হয়েছে। একজন

নারী শিক্ষার্থীর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষক পদে নিয়োগকে এলাকার তরুণ প্রজন্মের জন্য

অনুপ্রেরণার উৎস হিসেবে দেখছেন অনেকেই।সংক্ষেপে:

চকরিয়ার মেয়ে শাউরিন আহমদ খান একাডেমিক সাফল্য ও অধ্যবসায়ের মাধ্যমে নিজের যোগ্যতা

প্রমাণ করে দেশের সর্বোচ্চ বিদ্যাপীঠে শিক্ষক হওয়ার গৌরব অর্জন করেছেন।

তাঁর এই অর্জন কেবল পরিবারের নয়, পুরো এলাকার জন্যই এক বড় সম্মান।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *