আবু সাইদ শওকত আলী,বিশেষ প্রতিনিধি:
বাংলাদেশ সরকারের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে ভারতের কলকাতায় অবস্থিত বাংলাদেশ উপ
দূতাবাসের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জন্য ৪০০ কেজি মৌসুমী ফল আম উপহার হিসেবে পাঠানো হয়েছে।
বুধবার (৯ জুলাই ২০২৫) দুপুরে বেনাপোল
স্থলবন্দরের কার্গো ভেহিকেল টার্মিনাল দিয়ে আমভর্তি একটি বাংলাদেশি ট্রাক ভারতের পেট্রাপোল বন্দরে
প্রবেশ করে। আমগুলো রপ্তানির সকল প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে নিয়মিত পণ্য রপ্তানির নিয়মে পাঠানো হয়।
সাধারণ রপ্তানি প্রক্রিয়ায় পণ্য পরিবহন
ঢাকা মেট্রো-ণ-২০-২৭৯০ নম্বরের একটি ট্রাকে করে আমগুলো বেনাপোল বন্দরে পৌঁছায়। চালক মো.
মোক্তার এর নেতৃত্বে ট্রাকটি বেনাপোল কার্গো টার্মিনালে প্রবেশ করে এবং প্রয়োজনীয় কাস্টমস ও
বন্দরের আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন করে ভারতের দিকে রওনা দেয়।
এই চালানটি ‘রবি ইন্টারন্যাশনাল’ নামের একটি সিএন্ডএফ (ক্লিয়ারিং অ্যান্ড ফরওয়ার্ডিং) এজেন্টের
মাধ্যমে রপ্তানির প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা হয়। বেনাপোল কাস্টমস হাউজের কার্গো শাখার রাজস্ব কর্মকর্তা মো. আজিজ খান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন,ররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নির্দেশে কলকাতায় বাংলাদেশের উপ দূতাবাসের জন্য ৮১টি কার্টুনে মোট ৪০০ কেজি আম পাঠানো হয়েছে।
এটি উপহার হিসেবে পাঠানো হলেও তা রপ্তানির নিয়ম মেনেই পাঠানো হয়েছে।
কূটনৈতিক প্রেক্ষাপট ও ব্যতিক্রমী পরিবেশনা
গত বছরগুলোতে আম কিংবা ইলিশ মাছ উপহার হিসেবে পাঠানোর সময় দুই দেশের সীমান্তে কাস্টমস
ও দূতাবাসের কর্মকর্তাদের উপস্থিতি লক্ষ্য করা যেত। এতে কূটনৈতিক সৌহার্দ্য ও আনুষ্ঠানিকতা প্রকাশ পেত। তবে এবার সেই ধারার ব্যতিক্রম দেখা গেছে।
এবার আম পাঠানোর সময় কোনো পক্ষ থেকেই কর্মকর্তা উপস্থিত ছিলেন না।
ফলে এবারের আয়োজন ছিল অনেকটাই নিঃশব্দ এবং আনুষ্ঠানিকতার বাইরে।
সৌহার্দ্য বিনিময়ের ধারাবাহিকতা
বাংলাদেশ-ভারতের মধ্যকার সৌহার্দ্যপূর্ণ দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের অংশ হিসেবেই প্রতিবছর মৌসুমী ফল,
বিশেষ করে আম এবং ইলিশ মাছ উপহার হিসেবে পাঠানো হয়। এর মাধ্যমে দুই দেশের মধ্যে
কূটনৈতিক সম্পর্ক আরও সুদৃঢ় হয় বলে মনে করেন বিশ্লেষকরা।
এই উপহারের মাধ্যমে একদিকে যেমন বাংলাদেশি ফলের স্বাদ পৌঁছে যায় কূটনৈতিক মহলে, তেমনি
পারস্পরিক সম্পর্কও পায় নতুন মাত্রা।