পপ সঙ্গীতের বিপ্লবী রাণী, আশি-নব্বইয়ের কালজয়ী ম্যাডোনা

বিনোদন ডেস্ক :

কুইন অব পপ’ এই উপাধিটি ম্যাডোনার ক্ষেত্রে নিছক একটি অলংকার নয়। এটি তাঁর সংগ্রামী পথচলা,

সৃষ্টিশীল প্রতিভা এবং সাংস্কৃতিক বিপ্লবের স্বীকৃতি।

আশির দশকের গোড়ার দিকে যখন বিশ্বসংগীত এক নতুন মোড় নিচ্ছিল, তখনই আবির্ভাব ঘটে ম্যাডোনার।

আর এরপর পেছনে ফিরে তাকাতে হয়নি তাঁকে।

গানের জগতে ভিন্নমাত্রার সুর আর বাণীর সংমিশ্রণ, সাহসী ভিজ্যুয়াল উপস্থাপন, সামাজিক ট্যাবু ভাঙার

সাহসিকতা এবং একের পর এক চার্টবাস্টার হিট, সব মিলিয়ে ম্যাডোনা হয়ে ওঠেন সময়ের প্রতীক।

তাঁর ‘Like a Virgin’, ‘Vogue’, ‘Like a Prayer’, ‘Hung Up’–

এর মতো গানগুলো শুধু বিনোদন নয়, বরং সময়ের রাজনৈতিক ও সামাজিক প্রেক্ষাপটে নারীস্বাধীনতা,

যৌনতা ও আত্মপরিচয়ের প্রশ্নে নতুন আলো ফেলে।

তবে ম্যাডোনার প্রভাব সংগীতের গণ্ডিতেই সীমাবদ্ধ ছিল না।

তাঁর ফ্যাশন স্টেটমেন্ট, মঞ্চে দুর্দান্ত উপস্থিতি, ভিডিওচিত্রের নান্দনিকতা ও বিতর্ক সৃষ্টিকারী

উপস্থাপন তাকে বিশ্বসংস্কৃতির এক অবিচ্ছেদ্য অংশে পরিণত করে। তিনি একাধারে গায়িকা, নৃত্যশিল্পী,

অভিনেত্রী, পরিচালক ও উদ্যোক্তা।

বিশ্বজুড়ে রেকর্ড বিক্রির হিসাবে ম্যাডোনাই এখন পর্যন্ত সবচেয়ে বেশি বিক্রীত নারী সঙ্গীতশিল্পী।

তাঁর রেকর্ড বিক্রির সংখ্যা ছাড়িয়েছে ৩০ কোটিরও বেশি। বিলবোর্ড হট ১০০ এ সর্বোচ্চসংখ্যক একক

গান স্থান পেয়েছে তাঁর নামে,যা আজও নারীশিল্পীদের মধ্যে এক অনন্য রেকর্ড।

আজকের দিনে এসে, এই কালজয়ী শিল্পীর সম্পদের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে আনুমানিক ৮৫০ মিলিয়ন মার্কিন

ডলার। তবে শুধু ধনসম্পদ নয়, ম্যাডোনা অর্জন করেছেন অনন্য মর্যাদা, একটি প্রজন্মের কণ্ঠস্বর হয়ে ওঠার গৌরব।

বিশ্ব সংগীত ও সংস্কৃতির ইতিহাসে ম্যাডোনার নাম তাই স্বর্ণাক্ষরে লেখা থাকবে একজন নারীর সাহসী

উত্থানের প্রতীক হিসেবে, যিনি শিল্পকে নিজ হাতে গড়ে নিয়েছেন, নিজ শরীর-মন-ভাষায়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *