জীবননগর অফিস:-
চুয়াডাঙ্গা-২(জীবননগর-দামুড়হুদা ও সদরের একাংশ বেগমপুর,তিতুদহ ও গড়ুইটুপি ইউনিয়ন) আসন
বরাবরই বিএনপি,আওয়ামীলীগ ও জামায়াতে
ইসলামীর সব সময় শক্ত প্রার্থীদের প্রতিদ্বন্দ্বীতা থাকে । তবে আসনটিতে অধিকাংশ নির্বাচনে নতুন মুখের
দেখা মেলে। এবারে জনপ্রিয়তার শীর্ষ রয়েছেন শহীদ জিয়ার আদর্শে অনুপ্রাণিত বিশিষ্ট শিল্পপতি রাইজিং
গ্রুপের পরিচালক বিজিএমইএ সভাপতি সমাজসেবক মাহমুদ হাসান খান বাবু। দলে কিংবা দলের বাইরে তাকে নিয়ে কোন ভিন্নমত নেই।
একজনস ৎ,সচ্ছন,দানশীল ব্যক্তি হিসাবে সব মহলেই তার ব্যাপক গ্রহণ যোগ্যতা রয়েছে।
তিনি সম্প্রতি বিজিইএমএ সভাপতি নির্বাচিত হওয়ায় বাড়তি জনপ্রিয়তা অর্জন করেছেন।
জানা যায়, অসাধারণ মেধাবী,উচ্চ শিক্ষিত ও ক্লিন ইমেজের ব্যক্তিত্ব সম্পন্ন মাহমুদ হাসান খান ওরফে
বাবু খান। ব্যবসায়িক জীবনে পদার্পণ করে, নিজের মেধা ও পরিশ্রমের মাধ্যমে দেশের শীর্ষ স্থানীয় ব্যবসা
প্রতিষ্ঠান “রাইজিং গ্রুপ” প্রতিষ্ঠা করেন। এখন তিনি রাইজিং গ্রুপের অধীনে ১৪ প্রতিষ্ঠান পরিচালনা
করছেন। গার্মেন্টস ব্যবসার ক্ষেত্রে তিনি ঈর্ষণীয়
সফলতা অর্জন করেন। সুনামের সাথে তিনি দেশের শীর্ষ স্থানীয় দেশী-বিদেশী গার্মেন্টস কোম্পানিগুলোর
সাথে ব্যবসা পরিচালনা করে চলেছেন।
আলহাজ্ব আব্দুস সাত্তার ছাত্র জীবন থেকেই শহীদ জিয়ার আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে বিএনপির রাজনীতির
সাথে যুক্ত হয়েছিলেন। তিনি জানান, শহীদ জিয়ার খাল খনন কর্মসূচি, রাস্তা-ঘাট ও অবকাঠামো নির্মাণ
কর্মসূচি, কৃষি উন্নয়ন কর্মসূচি, জনশক্তি রপ্তানি ইত্যাদি কর্মসূচি আমাকে তার ভক্তে পরিণত করেছে।
বিশেষ করে শহীদ জিয়ার ১৯ দফা কর্মসূচি আমাকে মুগ্ধ করেছে। বর্তমানে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান
তারেক রহমানের রাষ্ট্র কাঠামো মেরামতের ৩১ দফা আমাকে তারেক রহমানের সুখী সমৃদ্ধ ও ইনসাফ
ভিত্তিক রাষ্ট্র গঠনের স্বপ্ন বাস্তবায়নে অংশ গ্রহনে আকৃষ্ট করে তুলেছে।
তিনি আরও জানান, শহীদ জিয়ার আদর্শের সৈনিক হিসাবে সেই ছাত্র জীবন থেকে বিএনপির রাজনীতি
করে আসছি। ফ্যাসিস্ট আওয়ামী সরকার বিরোধী আন্দোলনে নেতাকর্মীদের প্রত্যক্ষ ভাবে সহযোগিতা
করেছি। মনোবল চাঙ্গা রাখতে সর্বদা সাহস যুগিয়েছি। আমার প্রাণের সংগঠন বিএনপি আমাকে মনোনয়ন
দিলে জনগণের প্রত্যক্ষ ভোটে নির্বাচিত হতে পারলে, এলাকার বেকার যুবসমাজ এর জন্য কর্মসংস্থানের
ব্যবস্থা,স্বাস্থ্যখাতে উন্নয়ন,মাদক মুক্ত সমাজ গঠনে করবো ইনসাআল্লাহ। এলাকার মানুষের জন্য একটি
উন্নতমানের হাসপাতাল,স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীদের জন্য জীবননগর উপজেলার শেষপ্রান্ত বকুন্ডিয়া
থেকে চুয়াডাঙ্গা পর্যন্ত নামমাত্র ভাড়ায়(২-৫ টাকা)
যাতায়াতের সুযোগ সৃষ্টি এবং বিনা মুল্যে যুবক-
যুবতিদের জন্য কম্পিউটার প্রশিক্ষনের জন্য একটি
কম্পিউটার ক্লাব স্থাপন ও এলাকার শিক্ষিত
বেকারদের জন্য চুয়াডাঙ্গা-২ আসনের যে কোন স্থানে একটি জুট মিল কিংবা ভারী শিল্প কলকারখানা স্থাপন করা হবে।
ইতিমধ্যেই ব্যক্তিগত সামর্থের মধ্যে থেকে আমার রাইজিং গ্রুপের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে এলাকার কয়েক
হাজার বেকার যুবককে কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করেছি। এছাড়াও বেকার যুব সমাজকে টেকনিক্যাল প্রশিক্ষণ,
বাস্তব ভিত্তিক ওয়েবসাইট জ্ঞান ও অভিজ্ঞা বিনিময় এর মাধ্যমে দক্ষ জনশক্তিতে রূপান্তর এর মাধ্যমে
উদ্যোক্তা সৃষ্টি করা আমার আজন্ম লালিত স্বপ্ন।
আমাদের দেশের বিশাল জনগোষ্ঠিকে শিল্প স্থাপনের মাধ্যমে উৎপাদনের সাথে যুক্ত করবো ইনশাআল্লাহ।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে জীবননগর উপজেলা
বিএনপির সভাপতি আনোয়ার হোসেন খান খোকন, উপজেলা যুবদলের আহ্বায়ক ময়েন উদ্দিন ময়েণ
বলেন,মাহমুদ হাসান বাবু খান বিএনপি’র একজন নিবেদিত প্রাণ। দুঃসময়ে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ ভাবে
বিএনপির পাশে ছিলেন। এমন ব্যক্তি জীবননগর-দামুড়হুদা উপজেলাবাসীর পাশে থাকলে এলাকার
মানুষের মনের আশা পূর্ণ হবে এবং তাদের ন্যায্য অধিকার বুঝে পাবে বলে আমাদেরে বিশ্বাস করি।
তিনি মুক্তিযোদ্ধা,প্রতিবন্দ্বী,বিধবা,বয়স্ক মানুষকে
কয়েক যুগ ধরে সরকারী নিয়ম অনুযায়ী মাসিক ভাতা দিয়ে আসছেন। তিনি এসব মহৎ কাজ দীর্ঘদিন ধরে
করে আসলেও তা নিয়ে তিনি কখন জায়েরি কিংবা প্রচার প্রচারনায় বিশ্বাসী নয়। ধর্মীয় ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের উন্নয়নে আর্থিক
সহযোগিতা,অসহায় মানুষের পাশে দাড়ানো,তাদের আর্থিক সহায়তা,গরিব মেধাবী শিক্ষার্থীদের সাহায্য
করাসহ বিভিন্ন সেবামূলক কাজের জন্য বাবু খান চুয়াডাঙ্গা-২ আসনের সাধারণমানুষের মাঝে ‘মানবতার
ফেরিওয়ালা’ হিসেবে খ্যাতি লাভ করেছেন। এমনকি বিগত কোন সময়েই এলাকায় তিনি কোন বিতর্কিত
কর্মকাণ্ডে জড়িত হননি এবং প্রতিহিংসার রাজনীতিও তিনি বিশ্বাস করেন না। যে কারণে তিনি নিজ দল
ছাড়াও ভিন্নমতের দলের নিকট একজন গ্রহণ যোগ্য ও স্বচ্ছ ব্যক্তি হিসাবে পরিচিত। যে কারণে সাধারণ
মানুষ মনে করেন তাকে এমপি নির্বাচিত করতে
পারলে এলাকায় উন্নয়নে যেমন বিপ্লব ঘটবে,তেমনি মানুষের ভাগ্যের উন্নয়ন হবে।
দর্শনা পৌর বিএনপির সমন্বয় কমিটির অন্যতম সদস্য মশিউর রহমান বলেন,চুয়াডাঙ্গা-২ আসনের
রাজনৈতিক নেতাদের মধ্যে বাবু খান অত্যন্ত জনপ্রিয় ও পরিচ্ছন্ন মানুষ। রাজনীতি তার পেশা নয়,ব্যক্তিগত
ভাবে তিনি মানুষকে এতদিন সেবা দিয়ে আসছেন। তিনি মানুষ বাড়তি সেবা দেয়ার জন্যই ভোট
করতে মাঠে আছেন। তিনি মানুষের পাশে ছিলেন এবং থাকবেন।
জীবননগর পৌর বিএনপির সাংগাঠনিক সম্পাদক শাহজান মিয়া বলেন,বাবু খানের জনপ্রিয়তা যাচাই
করতে হলে গ্রাম-গঞ্জে যেতে হবে এবং সাধারন মানুষের সাথে কথা বলতে হবে। সবাই আগামী নির্বাচনে বাবু খানকেই ভোট দিতে চায়।
চুয়াডাঙ্গা-২ আসন বিএনপির ঘাঁটি হিসাবে পরিচিত এবং এ আসনে বিএনপি যতবার নির্বাচন করেছে তত
বারই এমপি হয়েছে। আর বাবু খান এ জনপদের সন্তান হিসাবে এবং একজন জনপ্রিয় মানুষ হিসাবে
তার বিজয় কোন ভাবেই ঠেকানো যাবে না। বাবু খান শহীদ জিয়ার আদর্শের প্রতি অবিচল একজন নেতা। তিনি সব সময় সমাজ
সেবামূলক কাজের মাধ্যে নিজেকে নিয়োজিত
রাখেন। যেমন রাস্তা-ঘাট মেরামত, মসজিদ-মন্দির ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এর উন্নয়নমূলক কাজ, গরীব দুঃখী
মানুষের পাশে দাঁড়ানো, চিকিৎসায় সহযোগিতা করা, কন্যার বিয়েতে সহযোগিতা করা, গৃহহীনদের বাড়ি ঘর
নির্মাণে সহযোগিতা করা, খাবার পানি সংকট নিরসনে টিউবওয়েল স্থাপন করা ইত্যাদি । তিনি একজন সৎ , যোগ্য ও জনদরদী ব্যক্তি।