জীবননগর অফিস:
চুয়াডাঙ্গার জীবননগর বাজারের ফার্নিচার পট্টিতে রাতের আধারে দূর্বৃত্তদের দেয়া আগুনে ৬ টি ফার্নিচারের দোকান পুড়ে ভস্মিভুত হয়েছে। ঘটনাটি মঙ্গলবার দিনগত বুধবার রাতে সংঘটিত হয়েছে।
আগুনে পুড়ে প্রায় কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্থ ব্যবসায়ীরা দিশেহারা হয়ে পড়েছেন। এ ঘটনায় সন্দেহের তীর জামাইয়ের দিকে।
একই সময় ঘটনাস্থলের অদুরে শ্বশুরের বাড়ীতে আগুন লাগলেও অল্পতে রক্ষা পেয়ে যায়। ঘটনার ব্যাপারে সন্দেহভাজন জামাই সোনা মিয়াকে(২৫) আসামি করে থানায় একটি মামলা করা হয়েছে।
জীবননগর পৌর শহরের বাঁকা আশতলাপাড়ার ওসমান গনির ছেলে ফর্ণিচার ব্যবসায়ী শহিদ হোসেন বলেন,আমি জীবননগর বাজারের ফার্ণিচার পট্টিতে একজন দীর্ঘদিনের ফার্ণিচার ব্যবসায়ী।
আমরা প্রতিদিনের মত মঙ্গলবার রাত ১০ টার দিকে ফর্ণিচারের দোকান বন্ধ করে নিজ বাড়ীতে চলে যাই। বাড়ীতে অবস্থান করা কালে মঙ্গলবার রাত দেড়টার দিকে সংবাদ পাই যে,আমাদের মার্কেটে আগুন লেগেছে।
আমরা সকল ব্যবসায়ীরা একে একে সেখানে ছুটে যাই এবং আগুন নিভানোর চেষ্টা করি। আমাদের সাথে ফায়ার সার্ভিসের ৩ টি ইউনিটও কাজ করে।
কিন্তু শেষ পর্যন্ত কোন কিছুতেই আগুন থেকে আমাদের ৬ টি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান রক্ষা করা সম্ভব হয়নি। আগুনের লেলিহান শিখায় আমার ও ব্যবসায়ী খোরশেদ আলম,আরিফ হোসেন,মহর আলী,আলাউদ্দিন ও ডালিমের ফার্ণিচারের দোকান সম্পূর্ণরুপে পুড়ে আগুনে ভস্মিভুত হয়েছে।
ছয়টি দোকান ঘর পুড়ে গিয়ে প্রায় এক কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে। একই সময় খোরশেদ আলমের বাড়ীতেও আগুনের সৃষ্টি হয়। তবে তার বাড়ীটি ভাগ্যক্রমে রক্ষা পায়।
এ ঘটনায় আমরা খোরশেদ আলমের জামাতা সোনা মিয়াকে সন্দেহ করছি। কারণ খোরশেদ আলমের জামাতার সাথে তার মেয়ের দাম্পত্য জীবনের কলহকে কেন্দ্র করে তাকে নানা ভাবে হুমকি ধামকী দিয়ে আসছিল।
ঘটনার দিন রাত সাড়ে ১২ টার দিকে আমাদের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান এলাকায় অনেকেই ঘুরাঘুরি করতে দেখা গেছে। আশ্চার্শের ব্যাপার হচ্ছে একই সময় খোরশেদ আলমের বাড়ীতেও আগুনের ঘটনা ঘটেছে।
খোরশেদের জামাই সোনা মিয়া ইতিপুর্বেও তার বাড়ীতে আগুন লাগিয়েছিল।
জীবননগর পৌরসভার মেয়র রফিকুল ইসলাম বলেন,ভয়বাহ আগুনের লেলিহান শিখায় ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। আমরাও শুনছি ঘটনার সাথে ফার্ণিচার ব্যবসায়ী খোরশেদ আলমের জামাতা সোনা মিয়া জড়িত। তবে ঘটনায় সাথে যে বা যারাই জড়িত হোক না কেন তাদের সনাক্ত করে কঠিন শাস্তির ব্যবস্থা করা দরকার।
জীবননগর ফায়ার সার্ভিস টিম লিডার সামসুর রহমান বলেন,আমরা ঘটনাস্থলে পৌছে আগুন নিভানোর চেষ্টা করি। আমাদের ধারণা বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিট থেকে আগুনের সৃষ্টি হয়েছে।
জীবননগর থানার অফিসার ইনচার্জ এসএম জাবিদ হাসান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন,ঘটনার ব্যাপারে একটি লিখিত এজাহার পাওয়া গেছে। তদন্ত করে আইনি ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।